নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ওয়ানডে সংস্করণে বর্তমানে বেশ সমীহ জাগানিয়া দল বাংলাদেশ। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে যেন ঠিক তার উল্টো। এখনও সংগ্রাম করে যাচ্ছে টাইগাররা। মাঝেমধ্যে দৈবাৎ দুই-একটি জয় ছাড়া সাফল্য নেই বললেই চলে। ২২ বছরেরও বেশি সময় ধরে খেলেও কেন টাইগাররা পরিণত হতে পারেনি সাদা বলে? এ নিয়ে চলছে নানা কাঁটাছেঁড়া। তবে কোচদের মতে দুই টেস্ট সিরিজে পুরো ১০ দিন খেলার মতো মাইন্ডসেটই নেই বাংলাদেশের।
এইতো কদিন আগেই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে নাকানিচুবানি খেয়ে ফিরেছে বাংলাদেশ। অথচ প্রোটিয়াদের সেরা তারকারা তখন সবাই ব্যস্ত আইপিএল খেলতে। তারপরও সে দলটির বিপক্ষে পাত্তাই পায়নি টাইগাররা। দুই টেস্টেই বড় হার। এরমধ্যেই আবার দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলতে ঢাকায় পৌঁছেছে শ্রীলঙ্কা দল। ঘরের মাঠেও কী এমন বাজে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে চলেছে টাইগাররা? উত্তর খোঁজার চেষ্টায় বিসিবি। যে কারণে গতপরশু লঙ্কানরা ঢাকায় পা রাখতেই টাইগারদের পুরো কোচিং স্টাফদের সঙ্গে আলোচনা সভায় বসেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা সফর, পারফরম্যান্স এগুলো নিয়েই আলাপ আলোচনা হয়েছে। ওদের কী ধারনা, ওদের কি অ্যাসেসমেন্ট। এছাড়া মুমিনুলের সঙ্গে বসলাম যে টেস্ট ক্যাপ্টেন, চলে যাচ্ছে চট্টগ্রামে। ওর সঙ্গে কথা হলো, টিমের সাথে সবাইকে নিয়ে... টিম ম্যানেজমেন্ট কথা হলো। পরিকল্পনা কী ধরনের হতে পারে। কী করছে এসব সম্পর্কে কিছু ধারনা পেলাম।’
পরে জানালেন বৈঠকের আদ্যোপান্ত, দলের পরিকল্পনাও, ‘আমি জানতে চাচ্ছিলাম হঠাৎ এরকম পারফরম্যান্সের কারণটা কি। প্রথমত নিশ্চিতভাবে টেস্টে আমরা ভালো দল না, সেটা আমরা জানি। টি-২০তেও আমরা ওরকম ভালো কোনো দল না। আমরা শুধুমাত্র ওডিআইতে কিছু ভালো করি। এটা তো আমরা সব সময় বলেই আসছি। জানি, এটা তো কোনো ব্যাপার না। সো এটার কারণটা কী, অনেক আলাপ আলোচনা হয়েছে। একটা জিনিস যেটা কোচিং স্টাফদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, ওরা আমাকে উদাহরণ দিচ্ছিল বেশ ৪/৫টা টেস্ট ম্যাচের। পাকিস্তানের সঙ্গে যখন খেললাম প্রথম টেস্টে আমরা ভালোই মোটামুটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টে একেবারেই ধরাশায়ী। বাইরের খেলাগুলোর কথা বলল, এমনকি নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা এরকম অনেক টেস্টের কথা নিয়ে আসল। আসলে প্রথম টেস্টটা আমরা মোটামুটি ভালোই খেলি, দ্বিতীয় টেস্টে গিয়ে একেবারেই মনে হয় আমরা আর পারছি না। এর পেছনে কি কি থাকতে পারে ওরাও বুঝতেছে না এতো তাড়াতাড়ি। কিন্তু ওরা যেটা বলল যে আসলে ১০দিন খেলার মাইন্ডসেটটাই নেই। যে আমি যে দশদিন টানা খেলতে হবে, এই মাইন্ডসেট অনেক খেলোয়াড়ের নেই। এটা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।’
সবকিছুর মূলে ঘুরেফিরে আসে ক্রিকেটারদের ঘরোয়া ক্রিকেটে লংগার ভার্সনে না খেলা। তবে সেখানেও রয়েছে নানা সংকীর্ণতা। ঠাসা সূচির কারণে সম্ভব হয়ে ওঠেনা বলেই মনে করেন পাপন, তাই বাধ্য হয়ে মুমিনুল হকের মতো আলাদা টেস্ট স্পেশালিষ্ট তৈরি ভাবনায় রয়েছে বিসিবি। এ প্রসঙ্গে পাপন বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে আমাদের যারা নাকি টেস্ট খেলছে, তাদের বেশিরভাগই ঘরোয়া ক্রিকেটে লংগার ভার্সন খেলে না। ওই অভ্যাসটা তো নেই। সো নিশ্চিতভাবে এটা তো হতেই পারে। এখন যে টানা কর্মসূচি আমাদের যে টানা খেলা বিরতিই তো নাই। মানে ইচ্ছা করলেও তো আমরা ওদেরকে খেলাতে পারব না। এখন এটা ছাড়া উপায় নেই যে আমাদের টেস্টের জন্য আলাদা কয়েকটা টেস্ট স্পেশালিস্ট তৈরি করা। কারণ এই ফরম্যাটে এতোগুলো খেলা আসলেই সবার পক্ষে সম্ভব না।’
শ্রীলঙ্কা সিরিজ শেষেই দল যাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। সেখান থেকে ফিরে লম্বা সময় নেই কোনো সাদা বলের ম্যাচ। প্রায় সাড়ে তিন মাসের মতো এ সময়ে টেস্ট দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে আলাদা কাজ করার পরিকল্পনা করছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।