মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সর্বকালের সবচেয়ে দুর্বল অবস্থায় পৌঁছেছে ভারতীয় রুপি। ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া রেপো রেটের হার বাড়াতেই ধস নেমেছিল শেয়ার বাজারে। আর এবার রেকর্ড পতন হয়েছে ভারতীয় রুপির দামের। সোমবার (৯ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার সকালে প্রতি মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির দাম সর্বনিম্ন হারে পৌঁছায়। বর্তমানে ডলার প্রতি ভারতীয় মুদ্রার দাম নেমে দাঁড়িয়েছে ৭৭ রুপি ৪০ পয়সায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চীনে কঠোর লকডাউন ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে শেয়ার বাজারে এক অদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা নতুন করে বিনিয়োগ করতে ভয় পাচ্ছেন।
এর আগে গত শুক্রবার বাজার বন্ধ হওয়ার আগে ডলার প্রতি ভারতীয় মুদ্রার দাম ৭৭ রুপি ৫ পয়সায় নেমে দাঁড়িয়েছিল। আর সোমবার সকালের শুরুতেই তা আরও কমে ৭৭ রুপি ৪২ পয়সায় নেমে দাঁড়ায়।
বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, মন্দার বাজারে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতেই বিনিয়োগকারীরা নতুন করে বিনিয়োগ করছেন না। গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষভাগ থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ঝুঁকি নিতে নারাজ বিনিয়োগকারীরা। যুদ্ধ এখনও অব্যাহত থাকায়, বিনিয়োগকারীদের মনেও ভয় থেকে যাচ্ছে। এর কারণেই বিশ্ব বাজারে আর্থিক মন্দা দেখা দিয়েছে।
গত সপ্তাহে ফেডারেল রিজার্ভ তাদের বেঞ্চমার্ক ফান্ডের দর ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর পর ডলারের দাম ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। জুন মাসে এই বেসিস পয়েন্টের ৭৫ পয়েন্ট বৃদ্ধি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে অন্যান্য দেশের মুদ্রার দাম যেখানে কমছে, সেখানেই বিশ্ব বাজারে যাবতীয় বাণিজ্য-লেনদেন ডলারে হওয়ায় মার্কিন মুদ্রার দাম ক্রমশ বেড়েই চলেছে।
মে মাসের মধ্যে ভারতীয় ইক্যুয়িটি বাজার থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা প্রায় ৬ হাজার ৪০০ কোটি রুপির বিনিয়োগ তুলে নিয়েছে। এরফলে ভারতের বাণিজ্যিক বাজারে মন্দার প্রভাব আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রমেই অপরিশোধিত ক্রুড তেলের দাম বাড়ছে। বর্তমানে ব্যারেল প্রতি ক্রুড তেলের দাম ১১০ ডলার পার করেছে। ভারত তার তেলের মোট চাহিদার ৮৫ শতাংশই বিদেশ থেকে আমদানি করে, আগামী দিনে রাশিয়ার সঙ্গে কম দামে তেল কেনার চুক্তি না করতে পারলে, আরও সমস্যা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আর্থিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডেফিসিট, পেট্রো পণ্য তথা কাঁচা তেলের দাম বৃদ্ধি, যুদ্ধ পরিস্থিতি ইত্যাদি বিষয় ভারতীয় রুপির অবমূল্যায়নের বড় কারণ। রিজার্ভ ব্যাংক রেপো রেট বাড়িয়েও তা আটকাতে পারেনি। অনেকের মতে, এই অবমুল্যায়ন হয়তো এখানেই থামবে না। অচিরেই তা পৌঁছে যেতে পারে কমবেশি ৮০ রুপিতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।