গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর হাতিরঝিল মহানগর প্রজেক্টে চুরির ঘটনা পাঁচ দিনেও কোনো কূল-কিনারা করতে পারেননি তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা। কে বা কারা এই চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে তাও শনাক্ত করা যায়নি। অথচ সম্পূর্ণ সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় ওই এলাকা। এলাকার নয়টি রাস্তাসহ প্রবেশ দ্বারগুলোও সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। হাতিরঝিলসহ ওই এলাকার নিরাপত্তায় রয়েছে আলাদা একটি থানা। এমন নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা এই এলাকার একটি বাসায় ঈদের দিন গ্রিল কেটে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোর ওই বাসার মাস্টার বেডরুম থেকে পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার ও দশ লাখ টাকার মালামাল হাতিয়ে নিয়ে যায়।
পুলিশ কমকতারা বলছেন, ঘটনার তদন্ত এখনও চলমান। তারা ঘটনাস্থল ও এর আশপাশের বিভিন্ন আলমত সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়াও এলাকার সব সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে দেখা হচ্ছে। পুলিশের একাধিক টিম তথ্য প্রযুক্তি ও ম্যানুয়ালি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, এলাকার নয়টি রাস্তাসহ প্রবেশ দ্বারগুলো সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় রয়েছে। এই এলাকায় কেউ কোনো অপরাধ করলেই তা ধরা পড়বে ক্যামেরাগুলোতে। এদিকে, এলাকার গাঁ ঘেঁষেই রয়েছে থানা কার্যালয় এবং পুলিশের টহল। এত নিরাপত্তার মধ্যে চুরির ঘটনাটি অনেকটাই অস্বাভাবিক।
হাতিরঝিল থানার ওসি আব্দুর রশিদ জানান, আমরা মামলার তদন্ত করছি। থানার একাধিক টিম কাজ করছে। পাশাপাশি এলাকার সব সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। তবে চোর এখনও শনান্ত হয়নি। আশা করছি খুব শিগগিরিই ঘটনায় জড়িত আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে।
উল্লেখ, গত মঙ্গলবার (ঈদের দিন) রাতে মহানগর প্রজেক্টের ডি ব্লকের ৩ নং রোডের ৬/ডি নং বাসায় চুরির ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার আগের দিন ২মে ওই বাসার ভাড়াটিয়া আবরার হোসেন তার স্ত্রীসহ পরিবারের বাকি সদস্যদের নিয়ে গ্রামের বাড়ি বরিশালে ঈদ উদযাপন করতে যান। তবে ওই বাসায় থেকে যান আবরারের বাবা আলম রায়হান। চুরির ঘটনার পর আবরারের বাবা আলম রায়হান বাদী হয়ে হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী আলম রায়হান বলেন, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক রাত ১১টা ১৫ মিনিটে সব কাজ শেষ করে ঘুমাতে যাই। পরদিন ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে ঘুম থেকে ওঠে দেখি পাশের ঘরটি ভেতর থেকে বন্ধ। তখন দরজা খোলার চেষ্টা করলে বুঝতে পারি ভেতর থেকে ছিটকানি দেয়া। পরে আমি আশপাশের লোকজনদের ডাকি এবং জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে হাতিরঝিল থানা পুলিশকে বিষয়টি জানাই। পরবর্তীতে বেলা ১১টায় বাড়ির মালিকের সহায়তায় মিস্ত্রির মাধ্যমে দরজার তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখি জানালার গ্রিল কাটা এবং বাসার ভেতরের সকল মালামাল এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ফ্ল্যাটের মাস্টার বেডরুমের তিনটি আলমারি থেকে প্রায় পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার, দুটি ক্যামেরা, চারটি হাতঘড়ি ও দুটি হার্ডডিস্ক চুরি হয়ে যায়। আমার ধারণা মঙ্গলবার রাত ১১টা ১৫ মিনিট থেকে বুধবার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটের মধ্যে কে বা কারা বাসার জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে এসব জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।