নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
একই রাতে দুজনের অভিজ্ঞতা হলো দুরকম। জোড়া গোল করে একজন দলকে ভাসালেন প্রত্যাবর্তনের আনন্দে, আরেকজন গোলে দল এগিয়ে গেলেও পরে উল্টো হেরেই গেল। বলা হচ্ছে দুই আর্জেন্টাইন লওতারো মার্তিনেজ ও পাওলো দিবালার কথা। গতপরশু রাতে লাওতারোর দল ইন্টার মিলান জিতেছে, হেরেছে দিবালার দল জুভেন্টাস। মার্তিনেজের জোড়া গোলে ইন্টার মিলান ৪-২ ব্যবধানে এম্পোলিকে হারিয়ে সিরি আ-র শীর্ষস্থানে উঠেছে, দিবালার গোলের পরও জুভেন্টাস ২-১ ব্যবধানে হেরে বসেছে জেনোয়ার বিপক্ষে। তবে একটু এদিক-ওদিক হলে মার্তিনেজ নন, দিবালার দলই জিতে মাঠ ছাড়তে পারত, হারতে হতো মার্তিনেজের দলকে।
প্রথমে ইন্টারের কথা বলে শুরু করা যাক। ইতালির স্ট্রাইকার আন্দ্রেয়া পিনামন্তি ও আলবেনিয়ার মিডফিল্ডার ক্রিস্তান আসইয়ানির গোলে ২৮ মিনিটে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল এম্পোলিই। ইন্টারের মনে তখন লিগ টেবিলের শীর্ষস্থানে উঠতে না পারার শঙ্কা। সে শঙ্কা থেকে নেরাজ্জুরিদের উদ্ধার করতে শুরুতে এগিয়ে আসে এম্পোলিই। ডিফেন্ডার সিমোনে রোমানিওলির আত্মঘাতী গোলের কারণে ব্যবধান কমে। এরপরেই মার্তিনেজ-শো। ৪৫ মিনিটে গোল করে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার সমতায় ফেরান দলকে, ৬৪ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলে এগিয়েও দেন। যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে গোল করে দলের জয় নিঃসংশয় করে দেন চিলিয়ান ফরোয়ার্ড আলেক্সিস সানচেজ।
দিবালার গল্পটা পুরোপুরি ভিন্ন। জেনোয়ার মাঠ লুইজি ফেরারিসে ৪৮ মিনিটে ইতালিয়ান স্ট্রাইকার মইসে কিনের সহায়তায় প্রথমে জুভেন্টাসকে এগিয়ে দেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। যখন মনে হচ্ছিল এই এক গোলের কারণেই পুরো তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়বে জুভ, তখনই বিপত্তি। ৮৭ মিনিটে আইসল্যান্ডের ফরোয়ার্ড অ্যালবার্ট গুডমুন্ডসনের গোলে সমতায় ফেরে জেনোয়া।
সেখানেই শেষ নয়, যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে ডি-বক্সে জেনোয়ার ইতালিয়ান স্ট্রাইকার কেলভিন ইয়েবোয়াকে ফাউল করেন জুভেন্টাসের ফুলব্যাক মাত্তিয়া দি শিলিও। পেনাল্টিতে গোল করে জেনোয়াকে স্মরণীয় এক জয় এনে দেন জুভেন্টাসেরই সাবেক লেফটব্যাক দমিনিকো ক্রিসিতো।
ইতালিয়ান লিগে মিলানের দুই দলের মধ্যে দারুণ জমে ওঠা লিগ শিরোপার দৌড়ে এ জয়ে একটু এগিয়ে গেল ইন্টার। ৩৬ ম্যাচে ৭৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগশীর্ষে উঠে গেছে ইন্টার। এসি মিলান এক পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে, তবে তারা ম্যাচও খেলেছে একটি কম (৩৫ ম্যাচে ৭৭ পয়েন্ট)। তিনে থাকা নাপোলি (৩৫ ম্যাচে ৭০ পয়েন্ট) আর শিরোপাদৌড়ে নেই।
জুভেন্টাস তো শিরোপাদৌড়ে নেই অনেক আগে থেকেই, তবে এই হারেও তাদের আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নিয়ে কোনো শঙ্কা তৈরি হয়নি। ৩৬ ম্যাচে ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে জুভেন্টাস। সেরা চার দলই তো আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলবে, পাঁচে থাকা রোমা ৩৫ ম্যাচ খেলে জুভেন্টাসের চেয়ে ১০ পয়েন্ট পিছিয়ে। জোসে মরিনিওর দল বাকি তিন ম্যাচে জিতলে আর জুভ নিজেদের বাকি দুই ম্যাচ হারলেও রোমার পক্ষে জুভকে পেরিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।