মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সিনেমায় দেখা বা গল্পে পড়া টাইম মেশিন কি বাস্তবে আছে? যে মেশিনে চেপে পৌঁছে যাওয়া যায় ইতিহাসের পাতায় বা আগামীর অন্দরে। তার অস্তিত্ব নিয়ে সংশয়ের অবকাশ না থাকলে, বাস্তবের ‘টাইম ট্রাভেলার্স’দের নিয়ে নানা সময় বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তাদের মধ্যে এক জনকে নিয়ে আজও নেটমাধ্যমে চর্চা অব্যাহত।
রহস্যে মোড়া সেই মানুষটার নাম অ্যান্ড্রু কার্লসিন। তাকে নিয়ে নানা গল্পকথা ছড়িয়ে রয়েছে। শুরুটা হয় ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৩ সালে। শেয়ার বাজারে মাত্র ১৩ দিনে এক ব্যক্তি আয় করে ৩৫ কোটি ডলার। বিনিয়োগ মাত্র ৮০০ ডলার। সামান্য বিনিয়োগ করে বিপুল পরিমাণ আয় কী ভাবে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করে এফবিআই। আটক করা হয় অ্যান্ড্রু কার্লসিনকে।
তদন্তকারীরা যখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন, তখন অ্যান্ডু তার এই অস্বাভাবিক আয় নিয়ে অদ্ভুত যুক্তি খাড়া করেন। অ্যান্ডু তদন্তকারীদের বলেন, তিনি ২২৫৬ সাল থেকে এসেছেন। সেখানেই তিনি জেনে এসেছিলেন শেয়ারগুলি দর কোথায় যেতে পারে। সময় মতো ফিরে এসে তিনি শেয়ারগুলি কিনেছেন। তার কাছে এটা স্বাভাবিক ঘটনা।
কিন্তু তদন্তকারীরা অ্যান্ড্রুর এই যুক্তিকে বিশ্বাস করেননি। মূল বিষয়বস্তুকে ঘুলিয়ে দেয়ার জন্য তিনি এ সব বলছিলেন বলে তাদের ধারণা। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি বলেন, ওসামা বিন লাদেন কোথায় আছেন তা তিনি আগাম বলে দিতে পারেন। এমনকি, এইডসের ওষুধ কবে আবিষ্কার হবে তার দিন ক্ষণ তিনি বলে দেবেন। তিনি তদন্তকারীদের কাছে আবেদন করেন, তাকে তার ‘টাইম মেশিনে’ করে ফিরে যেতে দেয়া হোক। তদন্তকারীরা জানতে চান কোথায়? সে সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে চাননি।
অ্যান্ড্রুর আশঙ্কা ছিল, বিষয়টি জানাজানি হলে তাঁর টাইম মেশিন ‘ভুল লোকের হাতে’ চলে যেতে পারে। এর পর ২৯ এপ্রিল ২০০৩ সালে একটি ‘ফলো-আপ’ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, জামিনে মুক্ত হওয়ার পরই আর অ্যান্ড্রুকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ওই প্রতিবেদনেই দাবি করা হয়, জেলে থাকাকালীন কবে ইরাককে আক্রমণ করবে আমেরিকা তার সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন অ্যান্ড্রু।
এর পরও প্রশ্ন থেকে যায় সত্যিই কি অ্যান্ড্রু কার্লসিন বলে কেউ ছিলেন? না কি সবটাই গল্প কথা? কারণ, ২০০২ সালের আগে তার সম্পর্কে কোনও তথ্য পাওয়া যায় না। যে প্রতিবেদনগুলি প্রকাশিত হয়েছে সেগুলিতে অ্যান্ড্রুর ছবি হিসাবে দুই ব্যক্তির ছবি প্রকাশিত হয়েছে। ফলত কে তিনি তা নিয়ে ধোঁয়াশা থেকে গিয়েছে।
কিন্তু তা সত্ত্বেও সে সময় তাকে নিয়ে গল্পকথা আগুনের মত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। নবীন প্রজন্মের কাছেও তা আগ্রহ বিষয়। তাই নেটমাধ্যমেও এখনও তাঁকে নিয়ে চলে চর্চা। সূত্র: এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।