বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে একের পর ভোজ্যতেলে চালান আসছে। এসব চালান দ্রুত খালাসও হচ্ছে। তবুও হু হু করে বাড়ছে দাম। সরকারের বেঁধে দেয়া দামে মিলছে না সয়াবিন তেল। বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে ক্রেতার পকেট কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ ভোক্তাদের।
ঈদের মধ্যেই প্রতি লিটারে ৩৮ টাকা মূল্যবৃদ্ধির সরকারি ঘোষণার পর বাজারে ভোজ্যতেলের হাহাকার শুরু হয়েছে। হাটবাজার আর পাড়া মহল্লার মুদি দোকানে মিলছে না তেল। দোকানিরা বলছেন, তাদের কাছে সরবরাহ নেই। বড় বড় আমদানিকারকেরা বাজারে সরবরাহ দিতে পারছে না। ঈদের ছুটির কারণেও সরববরাহও কম।
এই অজুহাতে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। কোন কোন এলাকায় সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল। তাতে ক্রেতাদের মধ্যে চমর অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। হাটে বাজারে মানুষকে এ নিয়ে নানা ক্ষোভ-অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে। বাসা-বাড়িতে গৃহিণী থেকে শুরু করে হাটবাজার, চায়ের আড্ডায় সর্বত্র আলোচনায় ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি।
এদিকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে একের পর তেলবোঝাই জাহাজ আসছে। সর্বশেষ শুক্রবার বিকেলে আরো ১২ হাজার মেট্রিক টন পাম তেল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে এমটি সুমাত্রা পাম নামে একটি জাহাজ। ইন্দোনেশিয়া থেকে এ তেল আমদানি করেছে টি কে গ্রুপ। এ নিয়ে গত কয়েক দিনে ৫৯ হাজার মেট্রিক টন তেল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে মোট ৫টি জাহাজ আসল।
এর আগে ৪৭ হাজার ৪৪ টন পাম ও সয়াবিন তেল নিয়ে বন্দরে পৌঁছে আরও ৪টি জাহাজ। ২৯ এপ্রিল থেকে ৪ মে পর্যন্ত এসব তেল বন্দর এসে পৌঁছে। বন্দরের কর্মকর্তারা জানান, এরমধ্যে ওরিয়েন্ট চ্যালেঞ্জের খালাস শেষ হয়েছে। আর বাকি তিনটি জাহাজের তেল খালাস প্রক্রিয়া চলছে।
জান গেছে, ২১ হাজার টন তেল নিয়ে ওরিয়েন্ট চ্যালেঞ্জ, ৭ হাজার টন নিয়ে এন এস স্টিলা, ৭ হাজার ৭৯৯ টন নিয়ে এমটি প্রাইড ও ১১ হাজার ২৪৫ টন নিয়ে সানজিন জাহাজ বন্দরে এসেছে। ওরিয়েন্ট চ্যালেঞ্জ ও এন এস স্টেলা নামে দুটি জাহাজে আর্জেন্টিনা থেকে অপরিশোধিত সয়াবিন তেল আনা হয়েছে। এমিটি প্রাইড ও এম টি সানজিন নামে বাকি জাহাজ দুটি ইন্দোনেশিয়া থেকে অপরিশোধিত পাম তেল নিয়ে এসেছে।
বন্দরের কর্মকর্তারা জানান, টিকে গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, সেনা কল্যাণ এডিবল অয়েল, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল, বসুন্ধরা, এস আলম গ্রুপ, এসএ গ্রুপসহ বড় বড় আমদানিকারকেরা তেল আমদানি অব্যাহত রেখেছে। চট্টগ্রাম বন্দরেও দ্রুততম সময়ে এসব ভোজ্যতেল খালাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ব্যাপক হারে তেলের আমদানির পরও বাজারে তেলের দামে উর্ধ্বগতি নিয়েও রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে ভোজ্যতেলের দাম বাড়তে থাকে। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়া তাদের দেশ থেকে পাম তেল রফতানি বন্ধ করায় বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।