নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চাঁছাছোলা মন্তব্যের কারণে ‘বদমেজাজী হেড মাস্টার’ হিসেবে দুর্নাম আছে হোসে মরিনহোর। গত বছর টটেনহ্যাম হটস্পার যখন তাঁকে ছাঁটাই করল, সবাই ধরেই নিয়েছিলেন, ফুরিয়ে গিয়েছেন তিনি। তেমন বড় কোনো ক্লাবের দায়িত্বে তাঁকে আর দেখা যাবে না। কথাটা খুব বেশি ভুল প্রমাণিত যে হয়েছে, সেটা বলা যাবে না। মরিনহো এখন ইতালিয়ান ক্লাব এএস রোমার দায়িত্বে। ঐতিহ্যের দিক দিয়ে যে ক্লাবটার সঙ্গে টক্কর দেওয়ার মতো বিশ্বে খুব বেশি ক্লাব না থাকলেও, শক্তিমত্তার দিক দিয়ে একরকম দ্বিতীয় সারির ক্লাবই বলা যায় যাদের। আজীবন শীর্ষস্থানীয় ক্লাবের দায়িত্বে থাকা, ফি-সপ্তাহ মিডিয়ার মনোযোগ পাওয়া, পাদপ্রদীপের নিচে থাকা মরিনহোর জন্য এ পরিবর্তনটা একটু হলেও অচেনা। প্রায় দুই দশক আগে পোর্তোতে আলো ছড়ানোর পর যে আজীবন শীর্ষস্থানীয় ক্লাবের কোচ হয়ে শীর্ষস্থানীয় প্রতিযোগিতার শিরোপার জন্যই লড়ে গেছেন!
এককালে যে গার্দিওলা, ক্লপ কিংবা আনচেলত্তিদের সঙ্গে প্রতি সপ্তাহে টক্কর দিতেন, রোমের আলো বাতাসে সেই হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতার গন্ধ এখন আর পান না। যেখানে ক্লপ-আনচেলত্তি নিজ নিজ ক্লাবকে নিয়ে এবারও উঠে গেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে, ইন্টার মিলান আর পোর্তোর হয়ে দুবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী কোচ মরিনহোর রোমা এখন খেলছে তৃতীয় সারির ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায়, উয়েফা কনফারেন্স লিগে।
তবে যা-ই হোক, ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতা তো! দিন শেষে শিরোপা তো শিরোপাই! রোমার কিংবদন্তি খেলোয়াড় ফ্রান্সেসকো টট্টি একবার বলেছিলেন, ‘রোমার হয়ে একবার শিরোপা জয়ের আনন্দ রিয়াল মাদ্রিদের মতো ক্লাবের হয়ে দশটা শিরোপা জয়ের সমান।’ গতপরশু রাতে মরিনহোর কর্মকাণ্ড দেখেও টট্টির সে কথাটার সত্যতা মিলল।
রোমাকে কনফারেন্স লিগের ফাইনালে তুলেছেন মরিনহো। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটির সঙ্গে প্রথম লেগে ১-১ গোলে ড্র করার পর দ্বিতীয় লেগে নিজেদের মাঠে গত রাতে ইংলিশ স্ট্রাইকার ট্যামি আব্রাহামের গোলে ১-০ গোলে জিতেছে রোমা। ফলে শ্রেয়তর গোল ব্যবধানে ফাইনালে উঠেছে মরিনহোর রোমাই। ২০০৭-০৮ মৌসুমে সর্বশেষ কোনো শিরোপার স্বাদ পাওয়া রোমাকে ফাইনালে তুলে আবেগের জোয়ারে ভেসে গেছেন মরিনহো। বাধা মানেনি চোখের জল। যে মরিনহো শেষ হয়ে গিয়েছেন বলে কিছুদিন আগেও কথাবার্তা চলত, মরিনহোর কানড়বা কি সেসব সংশয়বাদীদের একটা বার্তাও দিল না?
রোমাকে ফাইনালে তুলে বেশ কিছু চমক-জাগানো রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন এই কিংবদন্তি কোচ। মরিনহোই প্রথম এমন কোনো কোচ, যিনি তিন স্তরের ইউরোপীয় প্রতিযোগিতারই ফাইনালে উঠলেন। প্রথম ম্যানেজার হিসেবে উঠলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ইউরোপা লিগ ও কনফারেন্স লিগের ফাইনালে। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় চার-চারটা আলাদা আলাদা ক্লাবের হয়ে ফাইনালে ওঠা প্রথম কোচও মরিনহো।
পোর্তো, ইন্টারকে তুলেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে, পোর্তোকে তুলেছেন উয়েফা কাপের ফাইনালে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে তুলেছিলেন ইউরোপা লিগের ফাইনালে, এবার রোমাকে তুললেন কনফারেন্স লিগের ফাইনালে। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার ফাইনালে মরিনহো কখনো হারেননি। তাই রোমা ২০০৭-০৮ মৌসুমের পর প্রথম শিরোপা জয়ের আশাটা চাইলে ভালোভাবে করতেই পারে!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।