মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে প্রাণহানি ও শনাক্তের তালিকা লম্বাই হচ্ছে। দুই বছর ধরে তাণ্ডব চালানো ভাইরাসটির প্রকোপ এখন অনেকটা কমে এসেছে।
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। একদিনে নতুন করে প্রায় দুই হাজার মানুষের প্রাণ কেড়েছে ভাইরাসটি। একই সময় অদৃশ্য ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে প্রায় ছয় লাখ মানুষের দেহে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, গত একদিনে সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৯৭০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় সাড়ে ছয় শ। তাদের নিয়ে বিশ্বজুড়ে মোট মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬২ লাখ ৬৫ হাজার ৭৭০ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৯৪ হাজার ২৭২ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ কোটি ৪৬ লাখ ৫৪ হাজার।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫৮ হাজার ২১৩ জন এবং মারা গেছেন ২৩৬ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৪৯ লাখ ৪৯ হাজার ৪০৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৩৬ হাজার ১৮৩ জন মারা গেছেন।
দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫২ হাজার ৪৮৩ জন এবং মারা গেছেন ৩৪০ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৩২ লাখ ৪০ হাজার ১১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ২১ হাজার ৫৮১ জন মারা গেছেন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ফ্রান্সে ৬৭ হাজার ১৭ জন আক্রান্ত ও ১২০ জন মারা গেছেন।
ইতালিতে নতুন করে আক্রান্ত ৬২ হাজার ৭১, মৃত্যু ১৫৩, জাপানে নতুন আক্রান্ত ২৩ হাজার ১৯৭ জন, মৃত্যু ৩০, রাশিয়ায় আক্রান্ত ৫ হাজার ৪৬৬, মৃত্যু ১২৫, অস্ট্রিয়ায় নতুন আক্রান্ত ৫ হাজার ২৪০ জন, মৃত্যু ১৩ জন এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫১ হাজার ২০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪৯ জনের।
২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে।
মহামারি শুরুর প্রায় এক বছর পর টিকা আবিষ্কার করতে সক্ষম হন বিজ্ঞানীরা। তারপর থেকে করোনার ঢেউ অনেকটা কমে আসে। এমন অবস্থার পর করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন বিশ্বজুড়ে ফের আতঙ্ক সৃষ্টি করে। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনা টিকার বুস্টার ডোজের ওপর জোর দিচ্ছে। করোনার প্রকোপ থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে বিশ্ব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।