Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পটিয়ায় আওয়ামীলীগ নেতাকে গাছে বেঁধে মারধর, ফেসবুকে ভাইরাল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০২২, ১০:১৯ এএম

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জিতেন কান্তি গুহকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয়েছে। শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে হাইদগাঁও ইউনিয়নের ব্রাহ্মণঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ রয়েছে, ইফতার মাহফিলের ব্যানারে হাইদগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বদরুউদ্দিন মোহাম্মদ জসীমের নাম না দেওয়ায় তার লোকজন জিতেন গুহর ওপর হামলা করেছে। ঘটনাটির ভিডিও এবং ছবি ফেসবুকে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার হাইদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় স্থানীয় গাউছিয়া কমিউনিটি সেন্টারে। ইউপি চেয়ারম্যান বিএম জসিমকে ইফতারে মাহফিলে দাওয়াত না দেওয়া ও ব্যানারে তার নাম থাকায় ঝামেলার সৃষ্টি হয়। বিকেলের দিকে চেয়ারম্যানসহ তার লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। একপর্যায়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে থাকা বাকি লোকজন জিতেন গুহকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে। এ সময় আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতিকেও চেয়ারম্যানের সমর্থকরা গালাগাল করেন।

চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ইফতার মাহফিলের ব্যানারে বর্তমান চেয়ারম্যানের নাম না থাকায় জিতেন গুহের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। একপর্যায়ে তাকে বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে তারাই (হামলাকারীরা) আবার খুলে দিয়েছে। বর্তমানে জিতেন গুহকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় কেউ অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হামলার বিষয়ে হাইদগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বদরুউদ্দিন মোহাম্মদ জসিম বলেন, এগুলো হচ্ছে আওয়ামী লীগের বিষয়। যে মার খেয়েছে সে আওয়ামী লীগের, যারা মেরেছে তারাও আওয়ামী লীগের। তার ওপর মানুষের ক্ষোভ ছিল। সেজন্য তাকে মারধর করা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, ব্যানারে আপনার (বদরউদ্দিন) নাম না থাকায় আপনার কর্মীরা এ হামলা করছে, এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, এগুলো মানুষের কথা। ব্যানারে নাম থাকলেই কী না থাকলেই কী। হামলায় কোনো রাজনৈতিক বিষয় নেই, এটা ব্যক্তিগত বিষয়ে হামলা হয়েছে। ব্যানারের বিষয়টি ১০টি ঘটনার মধ্যে একটি। এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে জিতেন কান্তি গুহর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ