কমলাপুর রেল স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন ম্যানেজার মো. আমিনুল হক বলেছেন, আজকে শুক্রবার তৃতীয় দিনের মতো ঈদযাত্রা করছেন মানুষ। আজ সারাদিনে ১২২ জোড়া ট্রেন কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করবে। এরমধ্যে ৪ জোড়া স্পেশাল ট্রেন রয়েছে। ট্রেনগুলোর একটি ঢাকা-খুলনা-ঢাকা এবং অন্যটি ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে চলাচল করছে।

শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১টায় কমলাপুর রেল স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজারের নিজস্ব কক্ষে সবশেষ অবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন। আমিনুল হক বলেন, বেলা ১১টা পর্যন্ত কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে মোট ২০ জোড়া ট্রেন যাতায়াত করেছে। দুটি ট্রেন স্টেশনে আসতে বিলম্ব করলেও আমরা দ্রুত সেগুলো ক্লিন করে আধা ঘণ্টায় গন্তব্যে ছেড়ে দিতে পেরেছি। আমরা চেষ্টা করেছি কীভাবে, কত দ্রুত ঢাকা থেকে ট্রেনগুলোকে ছেড়ে দেওয়া যায়। বিলম্বিত ট্রেন দুটির যাত্রাপথ অনেক দূর এবং যাত্রী ওঠানামা ও বিরতিতে কিছু সময় অতিরিক্ত ব্যয় হওয়ায় এই সমস্যা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি কীভাবে সেই সময় কমিয়ে আনা যায়। বঙ্গবন্ধু সেতু এক লেন হওয়ায় সেখানেও কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।

তিনি বলেন, গতকাল নীলসাগর ট্রেনটি দুই ঘণ্টা লেট ছিল। আমরা আজকে সেটিকে এক ঘণ্টায় নামিয়ে নিয়ে এসেছি। আমাদের সর্বোচ্চ মহল-ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে নজরদারি করছেন, যেন মানুষজন যাত্রা পথ সাবলীল ও সময়মত ট্রেন চলাচল করে। তিনি আরও বলেন, ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ৪ জোড়া স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। ঈদের দিন কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাতে মানুষের উপস্থিতি জন্য আরও দুই জোড়া স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। একটি হচ্ছে ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জ, আরেকটি হচ্ছে ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ। এ ট্রেন শুধু ঈদের দিনই চলাচল করবে।