পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এমন কোনো দিন যায় না যে, কিছু পশ্চিমা রাজনীতিবিদ ঘোষণা করেন যে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেন সফল হচ্ছে এবং রাশিয়া ব্যর্থ হচ্ছে। এটা অবশ্যই মনোবল বৃদ্ধিকারী। কিন্তু এটা পরিষ্কারভাবে একটি অর্থহীন দাবি। রাশিয়ার অগ্রগতি ধীর হলেও তা বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। বাস্তবতা হল, রাশিয়াকে পরাজিত করার জন্য ইউক্রেনকে আরো সশস্ত্র যুদ্ধে ঠেলে দেয়ার পশ্চিমের বর্তমান পদ্ধতি এ সঙ্ঘাতকে নিঃসন্দেহে দীর্ঘায়িত করবে এবং যত সময় গড়াবে, যুদ্ধ যত দীর্ঘ হবে, ততই ইক্রেনীয়দের বাড়িঘর, শহর, শিল্প এবং অর্থনীতির ওপর এর ধ্বংসলীলা বাড়বে।
গত দুই মাসে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা অঞ্চল মূলত ডনবাসের বিচ্ছিন্ন অংশগুলোর পরিধির থেকে সম্ভবত পাঁচগুণ বেড়েছে। যদি রাশিয়া এ গতিতে ‘পরাজয়’ ভোগ করতে থাকে, তবে আরো দুই মাসের মধ্যে ইউক্রেনের সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল ধ্বংসস্ত‚পে পরিণত হবে, ওডেসার মতো শহরগুলির পরিণতি মারিউপোলের মতো হবে এবং আরও হাজার হাজার ইউক্রেনীয় মারা যাবে। আরও খারাপ বিষয় হ’ল, যুদ্ধ দীর্ঘায়িদ হওয়ার সাথে সাথে, যেসব ইউক্রেনীয়রা অন্য দেশে পালিয়ে গেছে, তাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা কম হয়ে যাবে। কারণ তাদের ফিরে আসার জন্য কোনও বাসস্থান বা কর্মক্ষেত্র থাকবে না। ইউক্রেনীয়দেরকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করা তাই কেবল তাদের দেশটিকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলছে।
যদিও এই যুদ্ধ দ্রæত থামানোর দুটি উপায় রয়েছে, তবে সমস্যাটি হল, বেশিরভাগ পশ্চিমা নেতাদের কাছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। ন্যাটোর জন্য এ যুদ্ধে প্রবেশ করা তেমন কঠিন নয়। তবে এতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি সুস্পষ্ট এবং এ কারণেই পশ্চিমারা সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারছে না। অন্য বিকল্প হল, রাশিয়াকে বিস্তৃত শান্তি আলোচনায় আমন্ত্রণ জানিয়ে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে পুতিনকে রাজি করানো। পশ্চিমা নেতারা পুতিনের সাথে আলোচনায় অনীহা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু তারা সার্বিয়ার সেøাবোদান মিলোশেভিচের সাথে এটি করেছিলেন, স্রেব্রেনিকায় গণহত্যার মাত্র কয়েক মাস পর এবং এর ফলাফল ছিল ডেটন চুক্তি, যা ১৯৯৫ সালে বসনিয়া যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছিল। পুতিনকে আলোচনার টেবিলে আনার জন্য সবকিছুই করতে হবে।
আলোচনার ফলাফল পূর্বনির্ধারিত করার প্রয়োজন নেই। লড়াইয়ের চেয়ে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। পশ্চিমা নেতারা যদি এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে না পারেন, বা আরও সঠিকভাবে, রাশিয়াকে পরাজিত করার আশায় ইউক্রেনকে যুদ্ধ করতে প্ররোচনা দেন, তাহলে একটি বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে হবে যে, পুতিন কখনই পরাজয় মেনে নেবেন না। পশ্চিমা নীতি নির্ধরাকরা যদি মনে করেন যে, ইউক্রেনকে অস্ত্র ও উৎসাহ সরবরাহ করলে তা রামিয়ার বিরুদ্ধে বিজয় এনে দেবে, তাহলে তারা পুতিনের উদ্দেশ্য এবং দৃঢ় সংকল্পকে মারাত্মকভাবে ভুল বুঝেছেন। অতএব, ইউক্রেনের স্বার্থে, পশ্চিমাদের এখনই যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য কিছু করতে হবে, যাতে তারা রক্ষা করতে চায় এমন দেশের অন্তত কিছুটা অবশিষ্ট থাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।