পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কক্সবাজারের চকরিয়ায় সংরক্ষিত বনভূমি রক্ষায় কেন নির্দেশ দেয়া হবে না Ñএই মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)সহ কয়েকটি সংস্থার করা রিট শুনানি শেষে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। রুলের বিষয়ে ব্যারিস্টার আশরাফ আলী জানান, কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত রংমহল গ্রামের নিকটবর্তী জলাধার, টিলা, কৃষিজমি, ফাসিয়াখালী মৌজাসমূহে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক ও সংরক্ষিত বনভূমি রক্ষায় কেন নির্দেশ দেয়া হবে না Ñএই মর্মে রুল জারি করেছেন আদালত। রিটে ‘বেলা’ ও ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটির (ইয়েস)র পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আশরাফ আলী। সরকারপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শ্রী সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
গত ১০ মার্চ বালুমহালকে বিধিবহির্ভূতভাবে তালিকাভূক্তিকরণ ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কর্তৃক বালুমহালগুলো নতুন করে ইজারার উদ্দেশ্যে জারি করা টেন্ডার পরিপত্র কেন অবৈধ, আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ও জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করা হবে না Ñএই মর্মে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে সংঘটিত ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় ও দোষীদের কাছ থেকে তা আদায় এবং বালুমহাল ও এর পাশ্ববর্তী ডোবা, টিলা, কৃষিজমি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক এবং সংরক্ষিত বনভূমি রক্ষায় বিবাদীদের প্রতি কেন নির্দেশ দেয়া হবে না Ñজানতে চাওযা হয়। সেই সঙ্গে আদালত বালুমহালগুলোর ঘোষিত তালিকা এবং ১০ মার্চ টেন্ডার পরিপত্রের কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। এ সময় উল্লেখিত ৬টি বালুমহাল-বগাচতর, রিংভং, ডুলাহাজারা, ফাসিয়াখালী মৌজাসমূহে অবস্থিত ডাঙার বিল, রিংভং খাল, বগাছড়ি খাল, পাগলীর বিল ও উচিতার বিল নামক ডোবা সংরক্ষিত বনভূমি, টিলা, কৃষি জমি, সাফারি পার্ক থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন আদালত। বালু উত্তোলনের ফলে উল্লেখিত এলাকার পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থার যে ক্ষতি সাধিত হয়েছে তা নিরূপণ সাপেক্ষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সংশ্লিষ্টদের বলা হয়।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি), প্রধান বন সংরক্ষক, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি), কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি), চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক, চট্টগ্রামের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, কক্সবাজার জেলার পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক, চকরিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা, চকরিয়া পুলিশ স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), ডুলাহাজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়্যারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।