পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের ভোগড়া থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত সড়ক পথ চার লেন করা হয়েছে কয়েক বছর হয়েছে। কিন্তু সড়কের গাজীপুরের নাওজোড় ও কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর বাজার এলাকার দুইটি উড়াল সড়কের কাজে ছিল ধীর গতি। মহাসড়কে ঈদযাত্রায় যানজট নিরসনের জন্য কিছু কাজ বাকি রেখেই খুলে দেয়া হলো ওই দুই উড়াল সড়ক। কোনো আনুষ্ঠানিকতা না করেই গতকাল সোমবার এক যোগে গাজীপুরের নাওজোড় ও সফিপুর বাজারের উড়াল সড়ক দুইটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত দুই বছর করোনার প্রভাবের কারণে মানুষ তেমন ভাবে ঈদে বাড়ি যেতে পারেনি। তাই এবার ব্যাপক ভাবে মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ উদযাপন করতে ছুটে যাবে গ্রামের বাড়ি। ঈদের ছুটি শুরু হলেই মানুষ সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন সড়কপথে। এবারও সেই আশঙ্কাতেই আছেন ঘরমুখো মানুষ। অধিকাংশ এলাকাতে সড়কের অবস্থা আগের চেয়ে ভালো হলেও যানবাহনের চাপের কারণে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। অন্যদিনে মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারে এর জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
সাসেক প্রকল্পের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নাওজোড় এলাকায় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে উড়াল সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়। করোনার কারণে কাজের ব্যাঘাত ঘটনায় ওই কাজ শেষ হতে বেশ সময় লেগে যায়। ওই উড়াল সড়কে দৈর্ঘ্য ৮১০ মিটার। এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এছাড়া সফিপুর বাজারে নির্মাণ করা হয় এক হাজার ২৬২ মিটার দৈর্ঘ্যরে উড়াল সড়ক। সেটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের জুনে। দুইটি উড়াল সড়কের সংযোগ সড়ক নির্শান হলেও সেখানে কার্পেটিং করা হয়নি। লাইটিংসহ বেশ কিছু কাজ এখনও বাকি আছে। আর কয়েকদিন পর ঈদযাত্র শুরু হবে। ওই সময়ে যাতে যানজট না হয় সেই চিন্তা করে গতকাল সোমবার দুপুর থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য উড়াল সড়ক দুটি উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাজীপুরে ছোট-বড় প্রায় পাঁচ হাজার শিল্পকারখানা রয়েছে। এইসব কারখানার বেশিরভাগ শ্রমিক উত্তরবঙ্গের। এছাড়াও ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড় হয়ে প্রবেশ করে উত্তরবঙ্গে। একদিকে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের ঘরমুখো মানুষ নবীনগর হয়ে চন্দ্রায় প্রবেশ করে আর গাজীপুর সদর, টঙ্গী, শ্রীপুরের শ্রমিকরা গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা ও কোনাবাড়ি হয়ে প্রবেশ করবে চন্দ্রা ত্রিমোড়। উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় হয়ে ঈদে ২৩টি জেলার মানুষ যাতায়াত করে। যার কারণে ভোগান্তি সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে এখানেই। তাই বেশ কিছু দিন ধরে এলাকাবাসী উড়াল সড়ক দুটি খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছিলেন।
সালনা হাইওয়ে থানার ওসি মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, ওই পথে যানবাহন বাড়লেও যাতে যানজট সৃষ্টি না হয় তার জন্য প্রকল্প কর্মকর্তাদের উড়াল সড়ক দুটি খুলে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। সেই প্রেক্ষিতে তারা উড়াল সড়ক দুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়।
সাউথ এশিয়া সাব রিজিওনাল ইকোনমিক কোণ্ডঅপারেশন (সাসেক) প্রকল্প-১ এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক শাহানা ফেরদৌস বলেন, গাজীপুর থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত সড়কের কাজ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। এখন কয়েকটি উড়াল সড়কের ও ফুডওভার ব্রিজের কাজ বাকি ছিলো। গাজীপুরের উড়াল সড়ক দুটি কাজ বাকি থাকলেও উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া সাতটি ফুডওভার ব্রিজের মধ্যে ২টির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে, চারটি নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।