পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হাওর মানেই অথৈ পানির সমারোহ। দূর থেকে প্রতিটি গ্রামকে মনে হয় একেকটা ছোট দ্বীপকুঞ্জ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হাওরের দৃশ্যপট অনেকটাই পাল্টে গেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে এখন আর মানুষকে খুব একটা কষ্ট পোহাতে হয় না। শুকনো মৌসুমে এখন পুরো হাওর জুড়েই চলে দুই-তিন ও চার চাকার ইঞ্জিন চালিত গাড়ি। বদলে গেছে হাওরপাড়ের মানুষের জীবন-জীবিকাও। পাল্টাচ্ছে অর্থনৈতিক চিত্র।
হাওরবাসীর এ দুঃখ ঘোচাতে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের ইচ্ছায় ৮৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলার মধ্যে প্রায় ৩০ কিলোমিটার সারা বছর চলাচল উপযোগী সড়ক নির্মাণ করা হয়। সড়কটি ইতিমধ্যে সারা দেশের মানুষের দৃষ্টিও কেড়েছে। তবে সেই চোখজুড়ানো সড়কটি হাওরবাসীকে যোগাযোগে পূর্ণতা এনে দেয়নি।
কিশোরগঞ্জ জেলা সদর তথা সারা দেশের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হয়নি। এই অপূর্ণতা ঢাকতে এবার হাওরে নির্মাণ করা হচ্ছে উড়ালসড়ক। ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন এ প্রকল্প নিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ। ইতিমধ্যে প্রকল্প এলাকার মাটি পরীক্ষার কাজও শেষ হয়েছে।
সেতু বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, ১৪ কিলোমিটার দৈঘ্যের উড়াল সড়কটি শুরু হবে মিঠামইন সদর থেকে। নিকলীর ভাটিবরাটিয়ার ওপর দিয়ে এসে এটি শেষ হবে করিমগঞ্জের মরিচখালী এলাকার খয়রত গ্রামে। সেখান থেকে প্রশস্ত সড়কের মাধ্যমে সংযুক্ত হবে জেলা সদরের সঙ্গে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে নির্মাণাধীন সেনানীবাসকেও যুক্ত করা হবে। এই উদ্যোগটি দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলে পর্যটনকে আরও সমৃদ্ধ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই প্রকল্পটি হাওর পরিস্থিতি সহনশীল অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে হাওর এলাকায় সামগ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করে কৃষি উৎপাদন ও বিপণনে সহায়তা করবে।
এই উড়াল সড়ক নির্মাণে নকশা প্রণয়ন এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য পরিকল্পনা প্রণয়নে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আশা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মধ্যে প্রস্তাবিত এলিভেটেড রোডে যানবাহন চলাচল সম্ভব হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে হাওর এলাকায় ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়নের ফলে সারা বছর পণ্য, কৃষি পণ্য এবং মৎস্য সম্পদ দ্রুত ও সহজে পরিবহনের সুবিধা হবে। ফলে গ্রামীণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেগবান হবে। তা ছাড়া পর্যটকদের বিস্তীর্ণ হাওরের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ করে দিতে এলিভেটেড রোডের দুপাশে অন্তত ৬ থেকে ৭টি দ্বিতল টাওয়ার নির্মাণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।