মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মুসলিমদের ইস্যুতে আম আদমি পার্টির (এএপি) রাজনৈতিক অবস্থানে বিশাল পরিবর্তন এসেছে। এতদিন তারা এসব ইস্যুতে সাধারণত চুপ থাকতো এবং দূরত্ব বজায় রাখতো। সেখানে তারা এখন দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরীতে হওয়া সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার জন্য বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের দুষছেন! তবে দলের অনেকেই এই পরিবর্তনকে সমর্থন করছেন না। দলের আভ্যন্তরীণ সূত্র বলছে, মূলত জাতীয় পর্যায়ে রাজনীতি করার লক্ষ্যেই ভারতজুড়ে হিন্দু ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা করছে এএপি। এর আগেও দেখা গেছে, নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে ২০১৯ ও ২০২০ সালে শাহীনবাগে মুসলিম নারীদের যে বিক্ষোভ হয়েছিল তা থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছে এএপি। গত দুই বছরে মুসলিমদের বিভিন্ন ইস্যুতেই এএপি’র অবস্থান একই ছিল। আবার একই সময়ে দলটি হিন্দুদের কাছে টানতে নিজেদের রাজনীতির ধরণ পাল্টেছে। অযোধ্যায় যে রাম মন্দির নির্মিত হচ্ছে তার আদলে তৈরি মঞ্চে দিওয়ালির বিশাল আয়োজন করেছে। সর্বশেষ জাহাঙ্গীরপুরী ঘটনার মধ্য দিয়ে তাদের পরিবর্তন একেবারেই স্পষ্ট হয়ে গেলো। এ দাঙ্গার পর দলটির নেতারা রীতিমত মুসলিমদের আক্রমণ করে বক্তব্য দিয়েছেন। ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি যে কৌশলে মুসলিম সম্প্রদায়কে আক্রমণ করে, এএপিও তাই করছে। সাম্প্রদায়িক ইস্যুতে এএপির এমন ভাষা ব্যবহার তাদের রাজনীতির ধরণে বড় পরিবর্তনেরই ইঙ্গিত দেয়। জাহাঙ্গীরপুরীর ঘটনা নিয়ে দিল্লির ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া বলেন, বিজেপি ভারতজুড়ে বাংলাদেশি নাগরিক এবং রোহিঙ্গাদের স্থায়ী করেছে যাতে দাঙ্গা লাগানো যায়। বিজেপি নেতারা নিজেরাও ওই দুই সম্প্রদায়কে দায়ী করে বক্তব্য দিয়ে থাকেন। এক সংবাদ সম্মেলনে সিসোদিয়া বলেন, বিজেপির কারণে পুরো ভারতজুড়ে গুণ্ডামি চলছে। গত ৮ বছর ধরে বিজেপি কেনো বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের দেশজুড়ে আশ্রয় দিয়েছে? তাদেরকে আশ্রয় দিয়ে ভারতজুড়ে বিভিন্ন দাঙ্গায় তাদেরকে ব্যবহার করেছে বিজেপি। আম আদমি দলের সিনিয়র নেতারা এখন বলছেন, মূলত ভারতজুড়ে হিন্দু ভোটারদের কাছে টানতেই দলের মধ্যে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। ভারতে অনেক হিন্দু আছে যারা বেকারত্ব, উন্নয়ন কম হওয়া ও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে সরকারের ওপর অসন্তষ্ট। কিন্তু আদর্শিক ভাবে তারা বিজেপির হিন্দুত্ববাদকে পছন্দ করায় তাদেরকে ভোট দিয়ে যায়। আম আদমি পার্টি এই হিন্দুদের টার্গেট করে নিজেদের ভোট ব্যাংক বড় করতে চায়। গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশে এ বছরের শেষে বিজেপির সঙ্গে লড়বে এএপি। সেখানেই বেশি ভোট পেতে এই কৌশল কাজে দেবে বলে বিশ্বাস দলের শীর্ষ নেতাদের। যদিও দলের আরেক দল নেতা মনে করছেন, এই কৌশল ব্যাকফায়ার বা পাল্টা আঘাত হানতে পারে। কারণ, গুজরাট, কর্ণাটক এবং তেলেঙ্গানায় মুসলিমরা এএপিকে ভোট দিয়ে আসছে। তাই দলটি হিন্দুদের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়লে মুসলিমদের ভোট হারানোর ঝুঁকি আছে। আগামি বছর সেখানেও নির্বাচন আয়োজিত হচ্ছে। আর কর্ণাটক ও তেলেঙ্গানায় মুসলিমদের ভোট অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দ্য প্রিন্ট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।