পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং আন্তঃধর্ম সংলাপ তথা সহনশীলতা বাড়াতে কর্মরতদের সমর্থন ও সুরক্ষার তাগিদ দিয়ে গেছেন সদ্য ঢাকা সফরকারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক বিশেষ দূত রাশাদ হোসাইন। বাংলাদেশে ধর্ম-বিশ্বাস নির্বিশেষে মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বিষয়টি উল্লেখ করে এতে বিভাজনের অপচেষ্টা এবং ধর্মীয় সহিংসতায় উস্কানিদাতাদের (তৃতীয় পক্ষ) বিরুদ্ধে সরাসরি লড়াইয়ের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এমনটাই জানানো হয় অ্যাম্বাসেডর হোসাইনের ঢাকা সফরের আউটকাম বিষয়ক মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে।
‘রিডআউট অব অ্যাম্বাসেডর হোসাইন›স ট্রিপ টু বাংলাদেশ’ শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের মুখপাত্রের মিডিয়া নোটে বলা হয়, সফরকালে অ্যাম্বাসেডর হোসাইন বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজ, তরুণ-যুবা নেতৃত্ব তথা বিভিন্ন ধর্ম-বিশ্বাসের মানুষের সঙ্গে সিরিজ বৈঠক এবং মতবিনিময় করেছেন। সর্বত্রই তিনি ধর্ম পরিচয় নির্বিশেষে মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রশংসা করেন এবং বিদ্যমান অবস্থানকে উৎসাহিত করেন। সেই সঙ্গে যারা কোন ধর্ম বা বিশ্বাসের ধার ধারে না তাদের অধিকারও সুরক্ষার তাগিদ দেন তিনি। মিস্টার হোসাইন গত অক্টোবরে হিন্দু সাম্পদায়কে টার্গেট করে ধর্মীয় খোলসে পরিচালিত সহিংসতার বিরুদ্ধে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।
মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ ফর ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম রাশাদ হোসেন ১৭ থেকে ২০ এপ্রিল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা এবং মিয়ানমার সীমান্তবর্তী জেলা কক্সবাজার সফর করেন। কক্সবাজার অবস্থানকালে রাষ্ট্রদূত হোসাইন বর্মী বর্বরতা ও নিপীড়ন থেকে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন এবং হচ্ছেন এবং তাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে তাদের সমর্থন করতে পারে সে সম্পর্কে জানতে শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন। বিবৃতিতে এটাও বলা হয়, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সেনাদের গণহত্যসহ মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার প্রশ্নে গত মাসে (মার্চে) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি জে ব্লিনকেন যে অঙ্গীকার করেছেন রাষ্ট্রদূত হোসাইনের সফরে সেটি পূনর্ব্যক্ত করা হয়।
পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অটল সমর্থনের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়। বিবৃতি মতে, রাষ্ট্রদূত হোসাইন ঢাকা সফরকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, ধর্ম প্রতিমন্ত্রীসহ বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সে সব বৈঠকে তিনি স্বাধীনভাবে মানুষের ধর্ম পালন বা বর্জনের অধিকার এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি মার্কিন সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অশ্রয় এবং দেখভালে বাংলাদেশ যে উদারতার স্বাক্ষর রেখেছে সে জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বাইডেন দূত। সেই সঙ্গে বাস্তুচ্যুত ওই জনগোষ্ঠীর উন্নত ভবিষ্যত গড়ে তুলতে সাহায্য করার জন্য বাংলাদেশ তথা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
বাস্তুচ্যুতদের শিক্ষা লাভের পথ প্রশস্তকরণ তথা এডুকেশনে গ্রেটার অ্যাক্সেস এবং তাদের জীবনযাত্রার উন্নতিতে সহায়তা করার জন্য অতিরিক্ত বরাদ্দ প্রদান এবং রোহিঙ্গাদের মৌলিক মানবাধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিতের তাগিদ দেন তিনি। এখানে উল্লেখ্য, বাইডেনের বিশেষ দূত রাশাদ হোসাইন বাংলাদেশ সফরে এসে কক্সবাজারে শিশু-কিশোরদের পাঠশালা এবং উপার্জনক্ষম কিশোরী ও নারীদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখেন। সব মিলে তার ট্রিপটি স্মরণীয় ছিল বলে টুইট বার্তায় উল্লেখ করেন। অল্প বয়সী এক কন্যা শিশুর কোরআন তিলাওয়াতে মুগ্ধতার বয়ানও মিলেছে অ্যাম্বাসেডর এট লার্জ রাশাদ হোসাইনের টুইটে। বাংলাদেশ সফর নিয়ে গত ক’ঘণ্টায় একের পর এক সচিত্র টুইট করেছেন তিনি। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওই মুসলিম দূতের সেই সব টুইটে অনুভূতি প্রকাশই ছিল মূখ্য। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।