নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চিটাগাং ভাইকিংস : ১৬৩/৩( ২০.০ ওভারে)
বরিশাল বুলস : ১৬৭/৩ ( ১৯.৪ ওভারে)
ফল : বরিশাল বুলস ৭ উইকেটে জয়ী।
শামীম চৌধুরী : শুভাশিষকে থার্ডম্যানে মুশফিকুরের বাউন্ডারির সঙ্গে সঙ্গেই ড্রেসিং রুমের কাচ ভেদ করে টিভি পর্দায় ভেসে উঠল কোচ ডেভ হোয়াটমোর এবং সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদের উচ্ছ্বাসের ছবি। বাংলাদেশের ক্রিকেটের নতুন ইমেজের শুরুটা এই জুটির হাত ধরে। তাদেরই আবিষ্কার শাহরিয়ার নাফিস, মুশফিকুর রহিম। বরিশাল বুলসের কোচ, উপদেষ্টা জুটি হয়ে একসঙ্গে আবার যখন ফিরেছেন, তখন নিজেদের সেই আবিষ্কারদের ব্যাট একটার পর একটা ম্যাচে ছড়াচ্ছে দ্যুতি! চিটাগাং ভাইকিংসের ১৬৪ চেজ করে ২ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জিতে তাই উচ্ছ্বাসটা একটু বেশিই যে প্রকাশ পেলো এই জুটির!
আইকন মুশফিকুর রহিম ছাড়া দলটির স্থানীয় ক্রিকেটার সংগ্রহ বলার মতো নয়। বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে টুয়েন্টি-২০তে শুধু নির্ভার থাকা যায় শ্রীলংকান তিসারা পেরেরার উপর। অথচ, সবচেয়ে কম বাজেটের বরিশাল বুলসই কিনা বিপিএলের
চলমান আসরে করছে বাজিমাত! লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে থাকার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে অন্য এক শাহরিয়ার নাফিসের আবির্ভাবে ধন্য বরিশাল বুলস। টুয়েন্টি-২০ ক্রিকেটে ব্যাটিং রসায়নটা আছে জানায়, মুশফিকুরের ব্যাট বলছে সে কথাই। সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন ইংলিশ টপ অর্ডার ডেভিড মালান। তাতেই যেনো সোনায় সোহাগা বরিশাল বুলস। এদের মিলিত পারফরমেন্সে মাঠের খেলাটা শুধু উপভোগ্যই করেনি, ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে হার দিয়ে শুরু করা আসরে হ্যাটট্রিক জয়ে এখন দারুণ কিছুরই স্বপ্ন দেখাচ্ছে বরিশাল বুলস।
পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারের ব্যাটিং বড় কিছুর স্বপ্ন দেখাতে পারেনি বরিশাল বুলসকে। যে পর্বে চিটাগাং ভাইকিংসের স্কোর ৪৬/০, সেখানে বরিশাল বুলসে’র ২৬/১। তবে এমন শুরুর পরও ১৬৪ চেজ করে ২ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জিতেছে বরিশাল বুলস। কৃতিত্বটা দিতেই হচ্ছে ডেভিড মালান-শাহরিয়ার নাফিস জুটিকে। বিপিএলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১০২ বলে ১৫০ রানের রেকর্ড করেছেন তারা, পৌঁছে দিয়েছে এই জুটি জয়ের বন্দরে। ৩৪ বলে টুয়েন্টি-২০ ক্রিকেটে ১৭তম ফিফটি উদ্যাপনের দিনে ৭ ছক্কা ৩ বাউন্ডারিতে ৭৮ রানের ম্যাচ উইনিং ইনিংস দিয়েছেন উপহার ডেভিড মালান। বিপিএলের চলমান আসরে চতুর্থ ইনিংসে তৃতীয় ফিফটির ইনিংসটি সেখানে শাহরিয়ার নাফিসের ৬৫ (৫৯ বলে ৭ চার ১ ছক্কা) !
১৮ বলে ৩৩, এমন একটি দুরূহ পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ম্যাচটাকে হাতের মুঠোয় এনেছেন ডেভিড মালানÑডুয়াইন স্মিথকে ১৮তম ওভারে তিন তিনটি ছক্কায়। ১৯তম ওভারে পর পর দু’বলে শাহরিয়ার নাফিস, তিসারা পেরেরা ফিরে গেলেও শেষ ৬ বলে ৭ রানের টার্গেটটা কঠিন করতে দেননি বরিশাল বুলস অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। শেষ ওভারে একাই নিয়েছেন স্ট্রাইক, বিপিএলে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে হাজার রান পূর্ণ করার দিনটি ম্যাচ উইনিং শটে করেছেন উদযাপন।
অথচ কি জানেন, তামীমের ২২তম ফিফটির ইনিংসটি মাটি করে দিয়েছেন টিমমেট ব্যাটসম্যানরা। প্রথম রানের জন্য ধুঁকেছেন, প্রথম রানটি নিতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৯ম বল পর্যন্ত তামীমকে। সেই তামীমই ৩৮ বলে ফিফটি উদযাপন করেছেন, ৫১ বলে ১০ চার ২ ছক্কায় থেমেছেন ৭৫ রানে। কামরুল রাব্বীর ফুলার লেন্থ বলে লং অনে ক্যাচ দিয়ে এসে যেনো মহা অপরাধই করেছেন তামীম। জহুরুল অমির সঙ্গে ১১৬ রানের পার্টনারশিপে নেতৃত্ব দিয়ে দলের বড় স্কোরই করেছিলেন প্রত্যাশা চিটাগাং ভাইকিংস অধিনায়ক। অথচ, টি-২০ ব্যাটিং রসায়ন ভুলে শেষ ৪১ বলে ৪৭ রানকেই যথেষ্ট মনে করেছে অমি, বিজয়, ডুয়াইন স্মিথ। ক্যারিবিয়ান ডুয়াইন স্মিথের ১৭ বলে ১৭ রানে মহা বিরক্ত তামীম। যে ম্যাচে প্রতিপক্ষকে ১৭০’র উপরে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়ার ছক কষেছেন, সেই ম্যাচে কেন হ্যাটট্রিক হারের স্বাদ পেতে হবে? এটাই তার প্রশ্ন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।