নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা
গেইল নামক দানব কিংবা বাংলাদেশের টি-২০ সেনসেশন সাকিব নন, বিপিএলে প্রথম হাজারী ক্লাবের সদস্যপদটি পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। বিপিএলে চার অংকে পৌঁছুতে দরকার মাত্র ৫, হিসাবটা করেই এসেছিলেন মুশফিকুর রহিম। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে শুভাশিষকে কাভার ড্রাইভে বাউন্ডারি মেরে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে বিপিএলে হাজার রান পূর্ণ করে ব্যাটটা তাই ধরেছেন উঁচিয়ে মুশফিক। চারটি আসরে ৩৮ ম্যাচ থেকে ১০০৫ রান। গড়টা দারুণÑ ৪১.৮৭। স্ট্রাইক রেট ১২৯.৮৪। ৭৬টি চারের পাশে ৩২টি ছক্কাÑ জানেন, চার ছক্কায় গেইল (৩৫ চার, ৫০ ছক্কা) এবং ব্রাড হজের (৭৯ চার, ৩২ ছক্কা) পর মুশফিুরের অবস্থান। ২০১৩ সালে বিপিএল ‘টু’ তে ১৩ ম্যাচে ৪৪১ রানে যে মুশফিকুরকে দেখেছে বাংলাদেশের দর্শক, সেই মুশফিকুরই যেনো হাজির এবার। নিজে পারফর্ম করছেন, জিতছে দল। ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে একটি ম্যাচ বাদ দিলে প্রতিটি ম্যাচেই মুশফিকুর হাসছেন, করছেন উৎসব। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে বিপিএলে হাজার রান পূর্ণ করে ইতিহাস রচনায় তাই চেহারাটা একটু বেশিই হাসি-খুশি দেখিয়েছে মুশফিককে। মুশফিক নিজেও উদযাপনে নতুন অভিব্যক্তি প্রকাশে পাচ্ছেন আনন্দÑ ‘ফিরে পাওয়ার আনন্দ তো অবশ্যই। এতদিন দেখলাম আবেগের বহি:প্রকাশে পরিবর্তন এনে যদি কিছু হয়, তাই এটা করলাম।
শেষ ওভারে ৬ বলে ৭ রানÑ এমন লক্ষ্যের সামনে দাঁড়িয়ে লক্ষ্যচ্যুত হয়েছে রাজশাহী কিংস ২ বার, চিটাগাং ভাইকিংস এবার। গতকাল এমন লক্ষ্যের সামনে দাঁড়িয়ে লক্ষ্যচ্যুত হতে হয়নি বরিশাল বুলসকে। আতঙ্কগ্রস্ত না হতে তাই নিজেই নিয়েছেন স্ট্রাইকের দায়িত্বÑ ‘একজন সেট ব্যাটসম্যান যেনো থাকেন শেষ পর্যন্ত, ড্রেসিংরুমে এটাই আমরা বলেছি। এর আগে দু’টি ম্যাচে দেখেছি নতুন দুই ব্যাটসম্যান এসে ছয় বলে ছয় রান করতে পারেনি। তাই মালানকে বলেছি আতঙ্কিত হবার কিছু নেই, আমরা যদি আমাদের স্বাভাবিক ক্রিকেটিং শটস খেলি তাহলে জয় আসবে। আমি জানতাম শুভাশিষ কোন জায়গায় বল করবে। ফিল্ড সেট যেভাবে করেছে, তাতে একটা জায়গাই ওপেন ছিল। আর যখন স্কোর লেভেল হয়ে যায় তখনও বলেছিলাম সিঙ্গেল না আসলেও পেনিক হবার কিছু নাই। মারার বল পেলেই মারব, গ্যাপে গেলে চার হবে।
বিপিএলের চলমান আসরে স্থানীয় ক্রিকেটাররা কতৃত্ব করাকে ইতিবাচক দেখছেন মুশফিকুরÑ ‘বিপিএলে আফগান ক্রিকেটার শাহজাদের ইনিংস ছাড়া অবশিষ্ট সব ইনিংসে কিন্তু আমাদের স্থানীয় খেলোয়াড়রাই ভালো করেছে। সেরা রান সংগ্রহকারীরাও স্থানীয়। যদি প্রতি ম্যাচে আমাদের তিনজন স্থানীয় ক্রিকেটার ভালো করতে পারি, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। বোলিং হোক, ব্যাটিং হোক আমাদের স্থানীয় তিনজন ভালো খেললে অপরপক্ষে যত বড় তারকাই থাকুক না কেন সে ম্যাচ জিতবেই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।