নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নিজের সবশেষ সিরিজেই মিলেছে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরষ্কার। কিন্তু পরের সিরিজে খেলা তো বহুদূর, সুস্থভাবে বেঁচে থাকাই তখন আবিদ আলীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ। শঙ্কার সেই অধ্যায় পেরিয়ে এখন আবার স্বস্তির আলোয় পাকিস্তানের এই ওপেনার। পুরোপুরি সুস্থ হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সবুজ সঙ্কেত পেয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের পরের টেস্ট সিরিজ আগামী জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কায়। সেই সিরিজের দলে আবিদকে নেওয়া হবে কিনা, সেটি তোলা সময়ের হাতে। তবে দলে ফিরতে প্রস্তুত ৩৪ বছর বয়সী ওপেনার, শারীরিক কোনো জটিলতা তার নেই। গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে বাংলাদেশে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২৬৩ রান করে সিরিজ সেরা হন আবিদ। পরে দেশে ফিরে কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতেও দারুণ পারফর্ম করতে থাকেন। ওই টুর্নামেন্ট চলার সময়ই একদিন বুকে ব্যথা অনুভব করার পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। এরপর দুই দফায় এনজিওপ্লাস্টি হয় তার। এরপর প্রায় চার মাস ধরে ‘কনজারভেটিভ’ কার্ডিয়াক পুনবার্সনের মধ্য দিয়ে যেতে হয় তাকে। ক্রমে ট্রেডমিলে হাঁটা শুরুর অনুমতি পান, এরপর নির্দিষ্ট গতিতে দৌড়ানো শুরু করেন। গত মাসে নেট অনুশীলনে ফেরেন তিনি লাহোরে হাই পারফরম্যান্স সেন্টারে। পরে পিসিবির কয়েক দফায় পরীক্ষার পর তাকে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়।
সম্প্রতি ফয়সালাবাদে স্থানীয় একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে তিনি অংশ নেন। এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরুর অনুমতিও পেলেন। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোকে আবিদ বলেন, এক পর্যায়ে ক্রিকেটের ভাবনাই বাদ দিয়েছিলেন তিনি, ‘পাকিস্তানের হয়ে আবার খেলার সম্ভাবনায় আমি সত্যিই রোমাঞ্চিত। চিকিৎসকরা আমাকে মাঠে ফেরার অনুমতি দিয়েছে এবং অবশেষে আমি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পেরেছি। আরও কিছুদিন ওষুধের ওপর থাকতে হবে তবে শারীরিকভাবে আমি ভালো অনুভব করছি। ডাইভিং, রানিং, জগিং, ব্যাটিং, সব করতে পারছি এবং স্বাভাবিক হতে পারাটা দারুণ। হার্টের অবস্থার কারণে সংশয় ছিল যে আবার ক্রিকেট মাঠে ফিরতে পারব কিনা। তবে আমি আশা হারাইনি। কিছুদিনের জন্য ক্রিকেট নিয়ে ভাবাই বন্ধ করে দিয়েছিলাম। প্রথম লক্ষ্য ছিল, আগে সুস্থ হওয়া। সময়টা কঠিন ছিল। তবে ব্যাপকভাবে পুনবার্সন প্রক্রিয়ার পর খুব ভালোভাবে কাটিয়ে উঠতে পেরেছি।’
টেস্ট ও ওয়ানডে, দুটিরই অভিষেকে সেঞ্চুরি করা ইতিহাসের একমাত্র ক্রিকেটার আবিদ। তবে পাকিস্তানের হয়ে তিনি নিয়মিত ছিলেন কেবল টেস্টে। সুস্থ হয়ে উঠলেও অবশ্য তার জন্য টেস্ট দলে জায়গা ফিরে পাওয়াটা সহজ হবে না। তার অনুপস্থিতিতে ইমাম-উল-হক ও আব্দুল্লাহ শফিকের উদ্বোধনী জুটি দারুণ পারফর্ম করেছে সবশেষ অস্ট্রেলিয়া সিরিজে। তৃতীয় ওপেনার হিসেবে আছেন শান মাসুদ। জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কা সফরের আগে ঘরোয়া ক্রিকেটেও খেলা নেই যে সেখানে খেলে নিজের দাবি জানাবেন আবিদ। বাস্তবতা জানলেও আবিদ অবশ্য আশা হারাচ্ছেন না, ‘পাকিস্তান জাতীয় দলে ফেরার বাস্তবতা নিয়ে আমি ঠিক নিশ্চিত নই। তবে ফিরতে আমি প্রস্তুত। দল নির্বাচনের বিবেচনায় থাকতে ফিটনেস নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করছি। সবশেষ সিরিজে ভালো পারফর্ম করেছিলাম (বাংলাদেশের বিপক্ষে) এবং বুকে ব্যথার আগ পর্যন্ত ভালো ছন্দে ছিলাম। হারানো সময় পুষিয়ে দিতে আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এখনও অনেক ক্রিকেট আমার বাকি আছে এবং আমি হাল ছাড়তে চাই না। ক্রিকেটই আবার জীবন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।