মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রে শিশুদের মৃত্যুর ক্ষেত্রে দুর্ঘটনাকে ছাপিয়ে গেছে বন্দুকের গুলি। বিবিসি জানিয়েছে, ২০২০ সালে কোভিড মহামারীর শুরুর বছরে যুক্তরাষ্ট্রে ৪ হাজার ৩০০ শিশুর মৃত্যু ঘটে বন্দুক হামলা সংক্রান্ত কারণে। আইনিভাবে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার সুযোগ প্রায় অবাধ বলে যুক্তরাষ্ট্রের ৩২ কোটি নাগরিকের হাতে ৩৯ কোটি আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দাবি বিভিন্ন সময়ে উঠলেও অস্ত্র নির্মাতাদের চাপে তাতে কোনো পরিবর্তন হয়নি। আর মহামারীর মধ্যে বন্দুক সহিংসতা বেড়ে যায়। ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) তথ্যানুযায়ী, ২০২০ সালে আ্গ্েনয়াস্ত্রের কারণে ১ থেকে ১৯ বছর বয়সী শিশুর মৃত্যু আগের বছরের চেয়ে ৩৩ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। বিগত বছরগুলোতে তরুণ আমেরিকানদের মৃত্যুর প্রধান কারণ ছিল গাড়ি দুর্ঘটনা, এরপরে ছিল বন্দুকজনিত মৃত্যু। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু কমেছে, ২০২০ সাথে ১৯ বছররে নিচে আনুমানিক ৩ হাজার ৯০০ আমেরিকানের মৃত্যু হয়েছে। ২০২০ সালে বন্দুক সহিসংসতায় মোট মিলিয়ে ৪৫ হাজার ২২২ জন আমেরিকানের মৃত্যু হয়েছে। দুই দশক আগের তুলনায় গত কয়েক বছরে এই মৃত্যু ১৩ শতাংশ বেড়েছে। সিডিসির গবেষণা অনুযায়ী, শিশু-কিশোরদের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে সার্বিক প্রাণহানির হার ২৯ দশমিক ৫ শতাংশ। গুলিতে মৃত্যুর ঘটনাগুলোর মধ্যে হত্যার পাশাপাশি রয়েছে আত্মহত্যা, অবহেলাজনিত ও অনিচ্ছাকৃত মৃত্যু। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে গুলিতে আত্মহত্যার হার বেড়েছে ১ দশমিক ১ শতাংশ। গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, “যে মৃত্যু প্রতিরোধ করা যায়, সেই মৃত্যু থেকে আমরা আমাদের শিশুদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হচ্ছি।” গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৯ এবং ২০২০ সালে নারী ও পুরুষ উভয়ের মধ্যে এবং জাতিগত জনসংখ্যা জুড়ে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে বন্দুকজনিত মৃত্যুর হার বেড়েছে। কালো আমেরিকানদের মধ্যে এই হার বেশি বেড়েছে। অল্পবয়সীদের মৃত্যু হার বেড়ে যাওয়ার আরও দুটো কারণ হল অতিরিক্ত মাত্রায় মাদক সেবন এবং বিষক্রিয়া; এই দুই কারণে মৃত্যু বেড়েছে ৮৩ দশমিক ৬ শতাংশ। চলতি বছরে এপ্রিলের শুরুতে আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, এসব কারণে ২০১৯ সালে ৪৯২ জন তরুণের মৃত্যু হয়, এর পরের বছরই এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৯৫৪ জনে। আগ্নেয়াস্ত্রের কারণে মৃত্যু বেড়ে যাওয়ার কারণ স্পষ্ট না হলেও গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, “অনুমান করা যায় যে আগ্নেয়াস্ত্র সংক্রান্ত মৃত্যু আগামীতে প্রাক-মহামারী স্তরে ফিরে আসবে।” ফেব্রুয়ারিতে অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিনে প্রকাশিত পৃথক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ৭৫ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক (যা জনসংখ্যার ৩ শতাংশেরও কম) প্রথমবারের মতো আগ্নেয়াস্ত্রের মালিক হয়েছিলেন, যা পরবর্তীতে ৫০ লাখ শিশুসহ ১ কোটি ১০ লাখ মানুষকে বাড়ির ভেতরেই আগ্নেয়াস্ত্রের মুখোমুখি করেছে। অপর এক খবরে বলা হয়, আবার অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজের হামলা হল আমেরিকায়। স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুরে আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটনে এক ব্যক্তির গুলি চালানোর ফলে এক নাবালিকাণ্ডসহ তিন জন আহত হয়েছেন। ওয়াশিংটনের কানেকটিকাট এভিনিউ-ভ্যান নেস এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের ওই এলাকায় মূলত অভিজাত এবং উচ্চবিত্ত পরিবারগুলির বসবাস। ঘটনাস্থলের কাছে একটি স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয় থাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এই ঘটনার পরই বন্দুকধারী ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে ওই এলাকাণ্ডসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে লকডাউন করে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। এলাকার সমস্ত বাড়ি এবং বহুতলগুলিতে তল্লাশি চলছে। সতর্কতা অবলম্বন করতে এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে দেয়া হয়। তবে এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রফতার করা হয়নি বলেও পুলিশ জানিয়েছে। ওয়াশিংটনের সহকারী পুলিশ প্রধান স্টুয়ার্ট এমেরম্যান জানান, আহত তিন ব্যক্তিকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক দুই ব্যক্তি গুলির আঘাতে গুরুতর জখম হলেও তারা এখন স্থিতিশীল রয়েছেন। পাশাপাশি, গুলি ওই নাবালিকার দেহ ছুঁয়ে বেরিয়ে যাওয়ার ফলে সে খুব একটা জখম হয়নি। সিডিসি, ওয়াশিংটন পোস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।