চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেছেন, পবিত্র মাহে রমজান সংযম অনুশীলনের মাস, আত্মশুদ্ধি ও তাকওয়া তথা আল্লাহর ভয়ে সকল অন্যায়, অপরাধ, দুর্নীতি, অনৈতিকতা ও অশ্লীলতা থেকে বিরত থাকার প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাস। এ মাসের মর্যাদা রক্ষা করে নিজেকে পরিশুদ্ধ করার সাধনায় মগ্ন হয়ে সারাবছর তার আলোকে জীবন পরিচালনা করতে পারলে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে নিজেকে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, প্রতিবছর রমজানকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন না করে দুনিয়াবি ও অন্যায় ফায়দা উঠানোর মচ্ছবে লিপ্ত হয়ে উঠে কিছু মানুষ। যার কুফল সাধারণ জনগণকে ভোগ করতে হয়।
২১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বাদ আসর রাজধানীর লালবাগস্থ খেলাফত মিলনায়তনে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর আয়োজিত ‘তাক্বওয়া ভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খেলাফত আন্দোলনে কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা সানাউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হান্নান আল হাদী, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, নায়েবে আমীর মাওলানা ফিরোজ আশরাফি, মাওলানা মাহবুুবুর রহমান, মুফতি আখতারুজ্জামান আশরাফি, নগর সম্পাদক মোফাচ্ছির হোসাইন, যুগ্ম সম্পাদক মুফতি আফম আকরাম হোসাইন, বিচার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক মুফতী মাহফুজুর রহমান প্রমূখ।
মিয়াজী আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেওয়া, ঘুষের লেনলেন, বিভিন্ন জায়গায় নামে-বেনামে চাঁদাবাজি বেড়ে যাওয়া এই মচ্ছবের সামান্য কিছু উদাহরণ। এমতাবস্থায় মানুষের মধ্যে শান্তি-স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে তাকওয়ার ভিত্তিতে সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল স্তরে শুদ্ধাভিযান চালানো জরুরি হয়ে পড়েছে। তাক্বওয়াভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে শুধু মানুষই নয় বরং জীবজন্তু, পশুপাখিসহ সবকিছুর সুরক্ষিত হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা হামিদী বলেন, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাহাবায়ে কেরাম যে ব্যবস্থায় রাষ্ট্র পরিচালনা করেছিলেন, তা ছিল তাক্বওয়াভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা। তাঁদের সবাই নিজেদের দায়িত্বের ব্যাপারে আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার ভয় করতেন। তাক্বওয়াভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে সমাজ ও রাষ্ট্রে কোন হানাহানি, খুন, ছিনতাই, দুর্নীতি, ধর্ষণ, অশ্লীলতা, অবিচার, জুলুম থাকবে না। সর্বস্তরে ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। দেশে আবারো সোনালী যুগ ফিরে আসবে ইনশাআল্লাহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।