মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অবশেষে বিস্তর টালবাহানার পরে মঙ্গলবার শপথ নিলেন পাকিস্তানের মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যেরা। সোমবারই মোট ৩১ জন ফেডেরাল মন্ত্রী, তিন জন প্রতিমন্ত্রী এবং তিন জন উপদেষ্টার নাম চূড়ান্ত করে ফেলেছিলেন সদ্য নিযুক্ত পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। সেই মতো মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করানোর কথা ছিল পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির। কিন্তু আচমকাই অসুস্থতার জন্য কাল ছুটিতে চলে যান তিনি।
এর আগে শাহবাজের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের দিনও হঠাৎ করে শারীরিক অস্বস্তির কথা জানিয়ে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন পাক প্রেসিডেন্ট। গত কালও ঠিক একই কারণ দেখিয়ে ছুটিতে চলে যান তিনি। প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, চিকিৎসকেরা তাকে দেখেছেন। এখন তার কয়েক দিন টানা বিশ্রামের প্রয়োজন। তবে প্রেসিডেন্টের ঠিক কী হয়েছে, তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতিতে শেষমেশ শপথ বাক্য পাঠ করান পাক সেনেটের চেয়ারম্যান সাদিক সঞ্জরানি। পাক প্রেসিডেন্ট বার বার এ ভাবে শপথ বাক্য পাঠ করাতে অস্বীকার করায় তাকে দ্রুত সরানো হতে পারে বলে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। তবে শাহবাজ শরিফের জোট সরকার এখনই সে পথে হাঁটতে চাইছে না বলে সূত্রের খবর। এ বিষয়ে হুড়োহুড়ি না করে সদ্য গঠিত সরকারের সব মন্ত্রী ও তাদের দলের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
নিজের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ় (পিএমএল-এন) ছাড়াও একাধিক জোট শরিককে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দিয়েছেন শাহবাজ। যার মধ্যে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) অন্যতম। যদিও পিপিপি-র চেয়ারম্যান বিলাবল ভুট্টোকে আপাতত কোনও পদ দেয়া হয়নি। তবে পিপিপি-র বেশ কয়েক জন মন্ত্রীকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানাচ্ছে পাক সংবাদমাধ্যম।
যার মধ্যে অন্যতম সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রব্বানি খান। এ বারও পিপিপি-র এই তরুণ নেত্রীকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। হিনা ছাড়া পিপিপি-র আরও দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতা-নেত্রী শেরি রহমান এবং খুরশিদ শাহ মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়ার কথা সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী তথা পিএমএল-এন নেতা খাজা মহম্মদ আসিফেরও।
পিপিপি ছাড়াও মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন মুত্তাহিদা মজলিস ই আমল, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান, বালুচিস্তান আওয়ামি পার্টি, জামহুরি ওয়াত্তারি পার্টি, পাকিস্তান মুসলিম লিগ (কায়েদ-ই-আজম গ্রুপ)-এর মতো দলের নেতারা। প্রধানমন্ত্রীর তিন উপদেষ্টার মধ্যে পিপিপি-র এক জন এবং পিএমএল-এনের দু’জন সদস্য রয়েছেন। সূত্র: ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।