Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ফেভারিটদের দিনে ওয়েলসের হোঁচট

প্রকাশের সময় : ১৪ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : এক দলের প্রতিপক্ষ ফিফা র‌্যাংকিংয়ের ১৫৫ নম্বর দল মেসিডোনিয়া, আরেক দলের ১৮৩ নম্বরে থাকা লিখটেনস্টাইন। ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দুর্বল দুই প্রতিপক্ষকে সমান ৪-০ গোলে ভাসিয়েছে যথাক্রমে স্পেন ও ইতালি। তবে শেষ রক্ষে হয়নি ওয়েলসের। ঘরের মাঠে এগিয়ে থেকেও সার্বিয়ার কাছে পয়েন্ট হারিয়েছে গ্যারেথ বেলের দল।

স্পেন-ইতালির জয়ের ব্যবধান একই হলেও ম্যাচের চিত্র ছিল ঠিক উল্টো। প্রথমার্ধে ইতালিয়ানদের পারফর্মেন্স বলছিল লিখটেনস্টাইনকে তাদেরই মাঠে বড় ধরনের লজ্জায় উপহার দিতে যাচ্ছে তারা। স্বাগতিক রক্ষণকে রীতিমত তাসের ঘর বানিয়ে প্রথমার্ধেই চার গোলে এগিয়ে যায় বুফনরা। ১১তম মিনিটে গোলউৎসবের উদ্বোধন হয় তুরিনের ফরোয়ার্ড আন্দ্রেয়া বেলোত্তির ছোট্ট টোকায়, এক মিনিট পর ফাঁকায় বল পেয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লাজিও ফরোয়ার্ড চিরো ইম্বেবিলে। ৩২তম মিনিটে মিডফিল্ডার কান্দ্রেভার গোলটিও ছিল স্বাগতিক রক্ষণের দুর্দশার ফল। বিরতির ঠিক আগের মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোলটি করেন বেলোত্তি। অথচ বিরতির পর এই দল গোলমুখই খুঁজে পেল না।
মেসিডোনিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে স্প্যানিশদের প্রথমার্ধ ছিল ঠিক এর উল্টো। একের পর এক আক্রমণ শানিয়েও সফরকারী দলের রক্ষণের দৃড়তায় গোলমূখ আবিষ্কার করতে পারেনি স্বাগতিকরা। তবুও প্রতিপক্ষের দেওয়া উপহারে (আত্মঘাতি গোল) এগিয়ে ছিল তারা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে হার মানতেই হয় মেসিডোনিয়ার রক্ষণকে। একে একে স্কোরবোর্ডে নাম লেখান সেভিয়া মিডফিল্ডার ভিতোলো, আর্সেনাল ডিফেন্ডার নাচো মনরেল ও অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের ফরোয়ার্ড আরিজ আদুরিজ। ৮৫তম মিনিটে করা ‘বুড়ো’ আদুরিজের গোলটি তো স্প্যানিশ ফুটবলের ইতিহাসেই জায়গা করে নিলো। স্পেনের জার্সি গায়ে সবচেয়ে বেশি বয়সে গোল করার রেকর্ড এখন তার। হোসে মারিয়া পেনারের রেকর্ডটি নিজের করে নেয়ার দিন আদুরিজের বয়স ছিল ৩৫ বছর ২৭৬ দিন। ১৯৩০ সালে পর্তুগালের বিপক্ষে মারিয়া রেকর্ডটি করেছিলেন আদুরিজের চেয়ে ৫০ দিন কম বয়সে।
‘জি’ গ্রæপে স্পেন-ইতালি দুই দলের সংগ্রহও সমান ১০ পয়েন্ট করে। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে স্প্যানিশরা। সমান চার ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে তাদের পরেই ইসরাইল। এদিন তারা আলবেনিয়াকে তাদেরই মাঠে হারায় ৩-০ গোলে।
তবে আবারো পয়েন্ট খুঁইয়েছে গেল ইউরোয় বিষ্ময় উপহার দেওয়া ওয়েলস। ঘরের মাঠে সার্বিয়ার সাথে ১-১ ড্র করেছে তারা। ফলে চার ম্যাচে মাত্র ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘ডি’ গ্রæাপে তাদের অবস্থান তৃতীয়। প্রথমার্ধে বেলের গোলে এগিয়ে ছিল ওয়েলস। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৫ মিনিট আগে সমতা গড়ে পয়েন্ট তালিকার দুই নম্বরে উঠে আসে সার্বিয়া (৮)। টানা তৃতীয় ড্রয়ে স্বভাবতই হতাশ ওয়েলস ফরোয়ার্ড বেল, ‘এই মুহূর্তে আমরা হতাশ। প্রথমার্ধে আমরা ছিলাম অসাধারণ, কিন্তু দ্বিতীয়ার্থে অনেকটাই ¤øান।’ এখনো অবশ্য অনেক পথই বাকি। তাই আশা ছাড়ছেন না রিয়াল মাদ্রিদ তারকা, ‘আমরা বিশ্বাস করি এখনো এটা (মুল পর্বে জায়গা করে নেয়া) সম্ভব। এজন্য আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। পরের ম্যাচে প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড এবং এদিন জিততেই হবে।’ গ্রæপের শীর্ষ দল এই আয়ারল্যান্ড। এদিন অস্ট্রিয়াকে তাদেরই মাঠে ১-০ গোলে হারিয়ে টানা তৃতীয় জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষস্থান আরো সুসংহত করেছে রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ড।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফেভারিটদের দিনে ওয়েলসের হোঁচট
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ