পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খাদ্য উৎপাদন, মজুত, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণনে অনিয়ম করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল, ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ড দেয়া হবে। এমন বিধান রেখে আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এছাড়া চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আটিয়া বন (সংরক্ষণ) আইন, ২০২২-এর খসড়া উপস্থাপন করা হয়েছিল। তবে সেটি স্থগিত রাখা হয়েছে। আটিয়া বন নিয়ে ডিজিটাল সার্ভে হবে। এরপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২২’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বাজারে যাতে খাদ্যদ্রবের মান নিশ্চিত থাকে, সেজন্য নতুন আইন করা হচ্ছে। আগের একটি অধ্যাদেশ ও আইনকে একীভূত করে নতুন এই আইন করা হচ্ছে। প্রস্তাবিত আইনে খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণনে অনিয়ম করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর জেল, ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এসব অনিয়মের বিচার নিরাপদ খাদ্য আদালতে করা যায় কি-না, সে বিষয়ে মন্ত্রিসভা পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। নতুন আইন পাস হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতেও এসব অপরাধের বিচার করা যাবে। উৎপাদন, মজুত, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণনে অনিয়ম করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল, ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ড দেয়া হবে। এমন বিধান রেখে নতুন একটি আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে সরকার। তিনি বলেন, এসব অনিয়মের বিচার নিরাপদ খাদ্য আদালতে করা যায় কি-না, সে বিষয়ে মন্ত্রিসভা পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। নতুন আইন পাস হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতেও এসব অপরাধের বিচার করা যাবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ‘আটিয়া বন (সংরক্ষণ) আইন, ২০২২’-এর খসড়া উপস্থাপন করা হয়েছিল। তবে এটিকে স্থগিত রাখা হয়েছে। আটিয়া বন নিয়ে ডিজিটাল সার্ভে হবে। এরপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গত ২৮ অক্টোবর ‘আটিয়া বন (সংরক্ষণ) আইন, ২০২২’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়ার পর আজ উপস্থাপন করা হয় (চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য)। এখানে ৫টি ধারা আছে। খসড়াটি নিয়ে বিস্তারিত ১ ঘণ্টার মতো আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, এখানে কিছু জিনিস দেখা হচ্ছে। বনের প্রকৃতি পরিবর্তন হয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে সরাসরি যদি আইন করা হয়, তাহলে কোনো অসুবিধা হয় কি-না, সেজন্য গত মিটিংয়েই একটা সিদ্ধান্ত ছিল।
মন্ত্রিসভার তত্ত্বাবধানে একটা পর্যালোচনা করে ডিজিটাল সার্ভের ব্যবস্থা করা যায় কি-না। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বেশ কয়েকটি মিটিং করে ভূমি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছিলাম। তারা এরই মধ্যে টেন্ডার শেষ করে এখন ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির অপেক্ষায় আছে। তারা আজ মিটিংয়ে উপস্থাপন করে বলেছে যে, ক্রয়-সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদন পেলে ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে আটিয়া বনকে ডিজিটাল সার্ভে করে ৪-৫ মাসের মধ্যে একটা পজিশন দাঁড় করাতে পারবে। কারণ সেখানে কিছু স্থাপনাও হয়ে গেছে।
উপজেলা পরিষদ, হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস এবং থানাÑ এগুলো সব আটিয়া বনের মধ্যে পড়ে গেছে। এগুলোকেও যদি সংরক্ষিত বন হিসেবে ঘোষণা করা হয়, আইনগত অসুবিধা হবে কি-না, সেজন্য এটাকে রিভিউ করা প্রয়োজন। আগে ডিজিটাল সার্ভেটা শেষ হোক, তারপর এ আইনটা আবার উপস্থাপন করা হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ভূমিমন্ত্রী এবং সচিব দু’জনই ছিলেন। আমরা নিজেরাও অবহিত আছি। তারা সময় নিয়েছেন। চার থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে পুরো সার্ভে করে পুরো অবস্থা উপস্থাপন করবেন। তারপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বর্তমান সরকারের চলতি মেয়াদে (২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত) মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৮৯ শতাংশ। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত মন্ত্রিসভার মোট ৮৯টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ২০১৯ সালে ২৫টি, ২০২০ সালে ৩৫টি, ২০২১ সালে ২২টি এবং ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত ৭টি।
তিনি বলেন, ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত মন্ত্রিসভার এসব বৈঠকে ৭৪৮টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে ৬৬৬টি। যা শতকরা হিসেবে ৮৯ দশমিক ০৪ শতাংশ। এছাড়া ৮২টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। যা শতকরা হিসেবে ১০ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এর মধ্যে ২০১৯ সালে ২৫৮টি সিদ্ধান্তের মধ্যে ২৫২টি বাস্তবায়ন হয়েছে। বাস্তবায়নের অপেক্ষায় রয়েছে ৬টি সিদ্ধান্ত। ২০২০ সালে নেওয়া হয়েছিল ২৫১টি সিদ্ধান্ত। এর মধ্যে ২৩৭টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়েছে এবং বাস্তবায়নাধীন রয়েছে ১৪টি সিদ্ধান্ত। ২০২১ সালে নেওয়া ১৮০টি সিদ্ধান্তের মধ্যে ১৪১টি বাস্তবায়ন এবং ৩৯টি বাস্তবায়নের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া ২০২২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ৩ মাসে মন্ত্রিসভা বৈঠকে নেওয়া ৫৯টি সিদ্ধান্তের মধ্যে ৩৬টি বাস্তবায়ন হয়েছে। বাস্তবায়নাধীন রয়েছে ২৩টি সিদ্ধান্ত। এ সময়ের মধ্যে ৮১টি আইন এবং ৫টি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। এছাড়া বৈঠকে অনুমোদনের পর প্রক্রিয়াধীন আইনের সংখ্যা ৫২টি। চলতি মেয়াদে ২৮টি নীতি, নীতিমালা, কর্মকৌশল, কর্মপরিকল্পনা অনুমোদন, ৪০টি দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক চুক্তি-প্রটোকল অনুমোদন-অনুসমর্থন করা হয়েছে। এছাড়া এ সময়ের মধ্যে মন্ত্রিসভার জন্য উপস্থাপিত সারসংক্ষেপের সংখ্যা ৫২৬টি।
এছাড়া যততত্র অপরিকল্পিতভাবে শিল্প স্থাপনের ফলে পরিবেশগত ভারসাম্য বিনষ্ট সংক্রান্ত গত ৩ জন ১৯৯০ সালে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে ১১ (ঙ) নম্বর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ হিসাবে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব বাতিল করেছে মন্ত্রিসভা। এটা বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ হিসাবে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।