পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719942960](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশকে ২৫ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা দেবে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বিশ্বব্যাংক। বর্তমান বাজারদরে দেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় সোয়া ২ হাজার কোটি টাকা। বিশ্বব্যাংকের এ বাজেট সহায়তা করোনা থেকে উত্তরণের জন্য নেয়া যেকোনো খাতে ব্যয় করতে পারবে বাংলাদেশ। গতকাল সোমবার এ বিষয়ে সংস্থাটির সঙ্গে একটি ঋণচুক্তি সই করেছে সরকার। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর মোহাম্মদ আনিস চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ইআরডিতে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
ইআরডি বলছে, করোনার বিরূপ প্রভাব থেকে কার্যকরভাবে উত্তরণে সরকার অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প, কৃষি খাত ও রপ্তানিমুখী শিল্পে প্রণোদনা দেয়াসহ খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি করেছে। বিশ্বব্যাংকের বাজেট সহায়তার এই ঋণ সরকার করোনার পুনরুদ্ধারে নেয়া কর্মসূচিতে ব্যয় করবে।
‘বাংলাদেশ ফাস্ট রিকভারি অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট (ডিপিসি১)’ কর্মসূচির আওতায় বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) থেকে এই ঋণ পাবে বাংলাদেশ। শুধু তা-ই নয়, ডিপিসি সিরিজের আওতায় দুই বছরে বাংলাদেশকে ৫০ কোটি ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। এর মধ্যে চলতি অর্থবছরে (২০২১-২২) ২৫ কোটি ডলার এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৫ কোটি ডলার। বিশ্বব্যাংকের ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিটে দুটি মূল বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। একটি হচ্ছে সরকারের রাজস্ব ও আর্থিক খাত, অন্যটি হচ্ছে সহনশীল অর্থনীতির জন্য জীবন ও জীবিকা।
করেনাভাইরাস পরবর্তী অর্থনৈতিক উত্তরণ এবং উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখতে এই ঋণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক। এর মাধ্যমে করোনা-পরবর্তী পুনরুদ্ধারের জন্য একটি আর্থিক উদ্দীপনা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে সহায়তা করার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা বাড়াবে।
বিশ্বব্যাংকের এই ঋণ পরিশোধে বাংলাদেশ ৩০ বছর সময় পাবে। এই ঋণের সুদের হার হবে ১ দশমিক ২৫ শতাংশ, সঙ্গে সার্ভিস চার্জ থাকবে শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ। ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে পাঁচ বছর গ্রেস পিরিয়ড পাবে বাংলাদেশ। এ সময় ঋণের কোনো কিস্তি শোধ করতে হবে না। বাকি ২৫ বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।