মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সঙ্কটের জন্যে যুক্তরাষ্ট্রকেই দায়ী করলো চীন। গত সপ্তাহে গ্লোবাল টাইমসের এক সম্পাদকীয়তে দাবি করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্বজুড়ে খাদ্য ও জ্বালানীর বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। আর এটিই শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিকে খাদে ফেলেছে। যদি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলতে থাকে এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে যদি যুক্তরাষ্ট্র আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তাহলে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি আরও ডুবে যাবে। এতে বলা হয়, যুদ্ধের কারণে পণ্যের আকাশচুম্বী দাম এবং খাদ্য ও জ্বালানী সংকটই শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিকে পতনের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। সাম্প্রতিক সময়ে সমগ্র বিশ্বেই খাদ্য ও জ্বালানীর দাম বেড়েছে। তবে যারা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বাস করেন এবং শ্রীলঙ্কার মতো বিদেশের ওপর খাদ্য ও জ্বালানীর জন্য নির্ভর করেন, তারা এই সংকট সবথেকে বেশি টের পাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে চীন বলছে, রাশিয়ার যুদ্ধ এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণেই উন্নয়নশীল দেশগুলো এই ক্ষতির মুখে পড়েছে। ওই সম্পাদকীয়তে বলা হয়, উন্নয়নশীল দেশগুলো কীভাবে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার বলি হচ্ছে তার বাস্তব প্রমাণ হচ্ছে শ্রীলঙ্কা। যখন পশ্চিমারা দাবি করছে তাদের নিষেধাজ্ঞা আসলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কিন্তু তারা আসলে উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্বার্থে আঘাত করছে। এটিই পরে বিস্তৃত মানবিক সংকট সৃষ্টি করতে পারে। তবে ওই সম্পাদকীয়তে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সৃষ্ট সংকটের কথা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। মূলত কোভিডের কারণেই শ্রীলঙ্কার পর্যটন শিল্পে ধস নামে। দেশটির অর্থনীতিতে পর্যটনের ভূমিকা ব্যাপক। তাছাড়া, বেইজিং শ্রীলঙ্কাকে যে ঋণের ফাঁদে ফেলেছে এবং রাশিয়ার যুদ্ধের অনেক আগেই যে দেশটির সংকটের শুরু হয়েছে তাও ওই লেখায় উল্লেখ করা হয়নি। গ্লোবাল টাইমস লিখেছে, শ্রীলঙ্কার ঋণ সংকটের কারণ রাশিয়ার যুদ্ধ এটা অনেকেই মানবে না। কিন্তু পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্বজুড়ে যে কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা নিশ্চিতভাবেই শ্রীলঙ্কার সংকটকে গভীর করেছে। ২০০৭ সাল থেকেই শ্রীলঙ্কাকে ঋণের ফাঁদে আটকাতে থাকে চীন। সেসময় তামিল টাইগারদের বিরুদ্ধে লড়তে প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসেকে সামরিক ও কূটনৈতিকভাবে সহযোগিতা করেছিল বেইজিং। এরপরই দেশটি বড় বড় অবকাঠামো প্রজেক্ট হাতে নিতে থাকে। এরমধ্যে আছে গভীর সমুদ্রবন্দর হাম্বানটোটা প্রকল্প, কলোম্বো পোর্ট সিটি কমপ্লেক্স এবং মাত্তালা রাজাপাকসে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। নিশ্চিতভাবেই কিছু প্রকল্প অর্থনৈতিক দিক থেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কার্যকর ছিল। কিন্তু বেশিরভাগই শ্রীলঙ্কার তেমন প্রয়োজন ছিল না, এগুলো শুধু বেইজিং-এর স্বার্থ নিশ্চিতের জন্য হাতে নেয়া হয়েছিল। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।