মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : মনের উপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করতে পারে, এমন ঘটনাগুলোতে নারী ও পুরুষের প্রতিক্রিয়া একরকম হয় না। এইসব ঘটনার ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের মস্তিষ্কে প্রভাবের তারতম্য ঘটে। কিন্তু কেন? উত্তর খুঁজে বের করেছেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। আর এর মধ্যদিয়ে মানসিক রোগের চিকিৎসায় নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মানসিক চাপের সময় মস্তিষ্কের কর্মপ্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করা গেলে চিকিৎসা দেয়ার কাজটা সহজ হবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের বরাত দিয়ে ডেইলি মেইল এক খবরে জানিয়েছে, সেখানে পরিচালিত এক গবেষণায় নারী-পুরুষ ভেদে মানসিক আঘাতের প্রভাবগত তারতম্যের কারণ খুঁজে পাওয়া গেছে। ৯ থেকে ১৭ বছরের প্রায় ৬০ জন শিশু-কিশোরীর ওপর পরীক্ষা চালান গবেষকরা। এদের মধ্যে প্রথম দলে ১৪জন মেয়ে আর ১৬জন ছেলে ছিল। এরা অন্তত একবার খুবই মানসিক চাপ ও বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে গেছে। আর দ্বিতীয় দলটিতে ছিল ১৫জন মেয়ে ও ১৪জন ছেলে। এরা কখনও কোন মানসিক চাপে পড়েনি। পরীক্ষায় দেখা গেছে, মানসিক আঘাত পাওয়া ছেলেমেয়েদের মস্তিষ্কের ইনসুলা অংশটির (মস্তিষ্কের যে অংশ আবেগ ও সহমর্মী অনুভূতির সঙ্গে জড়িত) আয়তনে পরিবর্তন ঘটেছে এবং মেয়ে ও ছেলেদের বেলায় ওই আয়তনে তারতম্য রয়েছে। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ভিক্টর ক্যারিয়ন বলেন, মানসিক আঘাতের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের আবেগ ও সহমর্মী অনুভূতির সঙ্গে জড়িত (ইনসুলা) অংশটি মুখ্য ভূমিকা পালন করে। মানসিকভাবে আঘাত পেলে মেয়েদের ক্ষেত্রে ইনসুলা ছেলেদের তুলনায় ছোট হয়ে যায়। তিনি বলেন, মানসিক আঘাতের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের অনুভূতির পার্থক্য নিরূপণ গুরুত্বপূর্ণ। এটি লিঙ্গভেদে মানসিক সমস্যার তারতম্য ব্যাখ্যায় সমর্থ হবে। গবেষকরা বলছেন এর থেকে বোঝা যাচ্ছে মানসিক আঘাত, বা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হলে মেয়েদের ক্ষেত্রে এর প্রভাব ছেলেদের থেকে কেন বেশি হয়। এই গবেষণার ফলাফলে দেখা যাচ্ছে একই ধরনের মানসিক কষ্ট, বিপর্যয় বা ভয়ের ঘটনায় ছেলেদের যে প্রতিক্রিয়া বা উপসর্গ দেখা যায়, মেয়েদের বেলায় তার উল্টোটা দেখা যেতে পারে। ফলে তাদের চিকিৎসাও ভিন্নভাবে করা উচিত। স্ট্যানফোর্ডের বিজ্ঞানীরা বলছেন, মস্তিষ্কের যে অংশ ব্যথাবেদনা বা অনুভূতির জন্য দায়ী, মানসিক আঘাত পাওয়া মেয়েদের ক্ষেত্রে ওই অংশের বয়স অনেক দ্রুত বেড়ে যায়। মস্তিষ্কের ঐ অংশকে বলে ইনসুলা। মানসিক আঘাতে মগজের ইনসুলা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইনসুলা মগজের বেশ ভেতরের একটি অংশ এবং মস্তিষ্কের সঙ্গে শরীরের অন্যান্য অনেক অংশের যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ইনসুলা। তারা বলছেন, কিশোর ও তরুণ বয়সীদের মধ্যে মানসিক চাপের ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে, কাজেই মানসিক চাপের সময় মস্তিষ্ক কীভাবে কাজ করে তা বুঝতে পারলে তাদের চিকিৎসা দেয়ার কাজটা সহজ হবে। ডেইলি মেইল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।