Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ইউক্রেন জুড়ে বাজছে বিমান হামলার সাইরেন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ১১:৫৩ এএম

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লভিভে শনিবার ভোরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। এর ফলে শনিবার সকালে ইউক্রেনের বেশিরভাগ অংশে বিমান হামলার সাইরেন বাজানো হয়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্ফোরণের খবর নিশ্চিত করা যায়নি। -রয়টার্স, ওয়াশিংটন পোস্ট

বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবেদনটি যাচাই করতে পারেনি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদেমির জেলেনস্কি বলেছেন রাশিয়ার আগ্রাসনে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজারের মতো ইউক্রেনীয় সেনা নিহত ও ১০ হাজারের মতো সেনা আহত হয়েছেন।তিনি দাবি করেন, এ সময় ১৯ থেকে ২০ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে। যদিও মস্কো গত মাসে বলেছিল যে এক হাজার ৩৫১ রুশ সেনা নিহত ও ৩ হাজার ৮২৫ জন আহত হয়েছে।

এদিকে ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মারিয়াপোলে ব্যাপক যুদ্ধ চলছে। ৪ লাখ লোকের শহর মারিয়াপোল বর্তমানে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। হাজারো বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। শহরটিতে আটকা পড়েছেন বহু মানুষ। ইউক্রেনকে অস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা যদি ইউক্রেনে সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখে, সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অপ্রাত্যাশিত বিপর্যয় নেমে আসবে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে মস্কো।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই দিন রাজধানী ওয়াশিংটনে রুশ দূতাবাসের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে একটি নোট পাঠিয়েছে মস্কো। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররাষ্ট্রসমূহের নিরাপত্তা জোট ন্যাটো কয়েক দফা অস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ইউক্রেনকে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে অতিরিক্ত ৮০০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে, কৃষ্ণসাগরে রাশিয়া তাদের একটি শক্তিশালী যুদ্ধজাহাজ হারিয়েছে। কৃষ্ণসাগরে ডুবে যাওয়া জাহাজটির নাম মস্কভা। এটিটি ডুবে যাওয়ার পেছনে দায় স্বীকার করেছে ইউক্রেন। পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির দাবি, তাদের সামরিক বাহিনী কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার নৌবহরের এ ফ্ল্যাগশিপে মিসাইল হামলা চালিয়েছে। জাহাজটি হারানোর পর থেকে কিয়েভে রুশ হামলার পরিমাণ বেড়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ