মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের অরিগন অঙ্গরাজ্যের পোর্টল্যান্ডে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভকালে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গত শুক্রবারই অরিগনে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ সহিংস হয়ে ওঠে। পুলিশের সেখানকার পরিস্থিতিকে দাঙ্গাপূর্ণ বলে উল্লেখ করে। স্থানীয় মেয়র ও পুলিশ প্রধান বিক্ষোভকারীদের প্রশমিত হওয়ার আহ্বান জানালেও তারা থামেনি। ট্রাম্প এসব বিক্ষোভকে ভাড়াটে বিক্ষোভকারীদের কাজ ও মিডিয়ার সৃষ্টি বলে উল্লেখ করে পরে আবার বিক্ষোভকারীদের প্রশংসাও করেছেন। খবরে বলা হয়, পোর্টল্যান্ডের মরিসন সেতুর কাছাকাছি গুলিবিদ্ধ হন একজন তরুণ মার্কিনি। পোর্টল্যান্ড পুলিশ গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছেন, গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি শঙ্কামুক্ত।
ক্যামেরন হাইটেন নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় সংবাদমাধ্যম অরিগন.কমকে জানান, তিনি ওই গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাটি দেখেছেন। তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীরা যখন সেতুর চারপাশজুড়ে বিক্ষোভ করছিল, তখন পূর্বদিক থেকে বেশকিছু মানুষ নিয়ে একটি গাড়ি আসছিল। ওই গাড়িতে এক বন্দুকধারী ছিলেন। তিনিই মিছিলে গুলি চালিয়ে ওই ব্যক্তিকে আহত করেন। ক্যামেরন হাইটেন জানান, ওই বন্দুকধারী প্রথমে খোলা আকাশে গুলি চালিয়ে মিছিলে থাকা ব্যক্তির শরীরের নিচের অংশে গুলি করেন। এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেছে কিনা, তা জানা যায়নি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর মঙ্গলবার রাত থেকে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। বুধবার থেকে তা ক্রমশ তীব্র হয়ে সহিংসতায় রূপ নিচ্ছে। ট্রাম্পের বিরোধিতাকারীরা বিক্ষোভকে আরও ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করছেন। টানা বিক্ষোভে বৃহস্পতিবার পোর্টল্যান্ড ছাড়াও ডেনভার, মিনিয়াপোলিস, মিলওয়াউকি, পোর্টল্যান্ড, ওকল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটেছে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের ঘটনা।
ইন্ডিয়ানাপলিসের পুলিশ জানায়, সেখানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে দু’জন পুলিশ কর্মকর্তা সামান্য আহত হয়েছেন। সাত বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ প্রধান ট্রয় রিগস জানান, শনিবার শহরতলীতে কয়েকশো বিক্ষোভকারী বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এদের মধ্য থেকে কয়েকজন হঠাৎ করে সহিংস হয়ে ওঠে। তারা পুলিশ কর্মকর্তাদের হত্যার হুমকি দেয়। পুলিশের দিকে ইট-পাথর নিক্ষেপ করার সময় কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত চারজন ইন্ডিয়ানাপলিসের এবং বাকি তিনজন শহরের বাইরে থেকে আসা। মেক্সিকোর রাজধানীতেও ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। এ সময় তারা ট্রাম্পবিরোধী বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড বহন করে। এদের একটি দল মেক্সিকো শহরের স্বাধীনতাস্তম্ভের কাছে ট্রাম্পের নির্বাসন নীতির ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে। সেখানকার এক স্কুল শিক্ষক বলেন, ব্যাপক সংখ্যক অভিবাসীকে ফেরত নিতে মেক্সিকো এখন প্রস্তুত নয়। অবকাঠামোগত এবং এখানকার কর্মসংস্থান পরিস্থিতি তা অনুমোদন করে না। এ কারণেই মেক্সিকোতে বিক্ষোভ চলছে। এদিকে লসএঞ্জেলেসে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে।
মার্কিন ইতিহাসে সম্প্রতি নজিরবিহীন বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এমনকি মার্কিন প্রশাসনের কেন্দ্র হোয়াইট হাউসের সামনেও বিক্ষোভ করেন ট্রাম্পবিরোধীরা। ওয়াশিংটন ডিসিসহ অন্য অঙ্গরাজ্যগুলোতেও এ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ওয়েস্ট কোস্ট, নিউ ইয়র্ক, বোস্টন, অস্টিন, সিয়াটল, ওকল্যান্ড, কালিফ, ফিলাডেলফিয়াসহ বিভিন্ন শহর। ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ এখন অন্তত ২৫টি শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। এপি, নিউইয়র্ক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।