পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
দক্ষিণ আফ্রিকার বন্দর নগরী ডারবানে প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৩০৬ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। সিএনএন বলছে, ভয়াবহ এই বন্যা ডারবানসহ কোয়াজুলু-নাটাল প্রদেশের পুরো অঞ্চলজুড়েই আঘাত করেছে। ওইসব এলাকার অধিকাংশ রাস্তায় ফাটল ধরেছে। বহু রাস্তা ভেসে গেছে, বিধ্বস্ত হয়েছে বহু বাড়িঘর। এ ছাড়া ডারবানের কাছে একটি সেতু ভেসে গেছে, ফলে দু’পাশে আটকা পড়েছে বহু মানুষ। শুধু তাই নয়, টানা বৃষ্টির পর ডারবানসহ আশপাশের এলাকায় কাদার স্রোত শুরু হয়। এতে দুর্যোগপীড়িত এলাকার বহু ঘরবাড়িও কাদার স্রোতের নিচে আটকে পড়ে। খবরে বলাপ হয়, প্রবল বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সৃষ্ট বন্যায় ভেসে গেছে রাস্তা-ঘাট ও ঘর-বাড়ি। ভূমিধসের কারণে বহু মানুষ ভবনের নিচে আটকা পড়েছেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ প্রদেশকে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করেছে। সেখানে পানি ও খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বন্ধ রয়েছে জরুরি সেবাও। গত বছরের সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার কারাদণ্ড নিয়ে সংগঠিত আন্দোলন চলাকালীন ব্যাপক অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে চরম ব্যবসায়ীক ক্ষতি হয় প্রদেশটিতে। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার আগেই আরেক দফা আর্থিক ক্ষতির শিকার হতে হলো। এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, সময় মতো বৃষ্টি ও বন্যার পূর্বাভাস দিতে না পারায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের আগাম সতর্কবার্তা দেওয়া উচিত ছিল। সপ্তাহজুড়ে টানা বৃষ্টি কারণে সৃষ্ট বন্যাকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা বলেছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে এটা হয়েছে। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।