মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দুই পারমাণবিক অস্ত্রধারী শত্রুর মধ্যে বছরের পর বছর চলতে থাকা উত্তেজনা প্রশমিত করতে কূটনৈতিক পথেরই আশ্রয় নেবেন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী, এমনটাই আশা করছেন ভারতের বিশ্লেষকরা। বাস্তববাদী এবং ব্যবসা-বান্ধব শেহবাজ শরীফ এখন ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি- ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের সাথে তার প্রতিবেশী দেশের গত ৭৫ বছরে তিনটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। তবে শাহবাজ একটি রাজনৈতিক পরিবার থেকে এসেছেন।
নয়াদিল্লি মনে করছে নতুন প্রধানমন্ত্রী সমঝোতার পথেই হাঁটবেন এবং নিন্দার পরিবর্তে আলোচনার মাধ্যমে বিরোধের নিষ্পত্তি ঘটাতে চাইবেন, যা তাঁর পূর্বসূরীরা চাননি।
নয়া দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক স্টাডিজের অধ্যাপক অজয় দর্শন বেহেরা এএফপিকে বলেছেন, "তিনি এমন কিছু করবেন না যা ভারতকে চরম বিরোধিতার পর্যায়ে নিয়ে যাবে।" শেহবাজ ২০১৩ সালে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ভারতে গিয়েছিলেন- এটি এমন একটি রাজ্য যেটি উপমহাদেশের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে বিভক্ত হয়েছিল। তিনি সীমান্তের ভারতীয় প্রান্তে তার পরিবারের পৈতৃক গ্রাম পরিদর্শন করেন এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে নয়াদিল্লিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সাথে দেখা করেন। অন্যদিকে ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, শরীফ পরিবারের একটি বিয়েতে যোগ দিয়েছেন।
হিন্দু জাতীয়তাবাদী এই নেতা ২০১৫ সালে পাকিস্তানে আচমকাই একটি সফর করেছিলেন, সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শাহবাজের বড় ভাই নওয়াজ।
তিনি মোদির গোটা সফর হোস্ট করেছিলেন। ইসলামাবাদের সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের ইমতিয়াজ গুল বলেছেন, ভারতীয় নেতাদের সঙ্গে শরীফ ভাইদের সম্পর্ক সাধারণত সৌহার্দ্যপূর্ণ। আর তাই ভারতের জন্য সংলাপ পুনরায় শুরু করার এটি একটি ভাল সময়। ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হয়, মোদি সেই সম্পর্ক মেরামত করার লক্ষ্যে তাঁর সফরকালে কয়েক দফা আলোচনা চালিয়েছিলেন।
কিন্তু পরের বছর ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরে নতুন করে সংঘাতের পর আলোচনার সব দরজা বন্ধ হয়ে যায়। কয়েক বছর পরে, ২০১৯ সালে উপত্যকার এই অঞ্চলে একটির পর একটি বিমান হামলার জেরে দু দেশের মধ্যে আবারো যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরী হয়েছিল। ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকারের সময়, জাতিসংঘের প্রস্তাবগুলির স্পষ্ট অমান্য করে বিতর্কিত কাশ্মীর অঞ্চলের স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেওয়ার জন্য ভারতের একতরফা পদক্ষেপ দুই দেশের সম্পর্ককে অতল গহ্বরে ঠেলে দেয়। কূটনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্য স্থগিত করে দিয়েছিল ভারত, যা পাকিস্তান কর্তৃক অবৈধ হিসাবে দেখা হয়েছিল। ইমরান খানও মোদির সমালোচক ছিলেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে "মুসলিমদের গণহত্যা"-র অভিযোগ তুলেছিলেন ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।