মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আর্থিক সংকটে জেরবার শ্রীলঙ্কা। প্রতিদিন বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রেসিডেন্টসহ অন্যান্য শাসকেরা। এর মধ্যেই দেশে মৃত্যু মিছিলের হুঁশিয়ারি দিলেন সেদেশের ডাক্তাররা। তারা জানিয়েছেন, আর্থিক বিপর্যয়ের ফলে চিকিৎসার অভাবে কোভিডের চেয়েও অনেক বেশি মানুষের মৃত্যু হতে পারে। দ্বীপ দেশটিতে গত দুই সপ্তাহ ধরে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রায় বন্ধ। দিনের ১৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেদেশের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা। বিদ্যুতের অভাবে থমকে রয়েছে অত্যাবশ্যকীয় চিকিৎসা পরিষেবা। জীবনদায়ী ওষুধও সঙ্কট দ্বীপরাষ্ট্রে। খাদ্য সামগ্রীর দামও ক্রমশ উর্দ্ধমুখী। এই সব কারণেই চিকিৎসকেরা আশঙ্কিত, দেশে বহু প্রাণহানি ঘটবে। শ্রীলঙ্কা মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, অস্ত্রোপচারের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং দরকারী ওষুধ, কিছুই আর মজুত নেই সেদেশে। শ্রীলঙ্কা মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই খুব প্রয়োজন না হলে তারা অস্ত্রোপচার করছেন না কারণ দেশে অ্যানস্থেশিয়া দেওয়ার ওষুধ নেই। কিন্তু এরপর অত্যন্ত গুরুতর অপারেশনগুলিও উপযুক্ত পরিকাঠামো এবং ওষুধের অভাবে করা যাবে না, তাতে প্রাণহানির আশঙ্কা থেকেই যাবে। শ্রীলঙ্কা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লিখে তারা জানিয়েছেন, আমাদের রীতিমতো বেছে বেছে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। কে চিকিৎসা পাবে আর কে পাবে না, বিচার করতে হচ্ছে আমাদের। কয়েকদিনের মধ্যে যদি প্রয়োজনীয় জিনিসের যোগান না বাড়ে, তাহলে করোনা মহামারীর চেয়েও অনেক বেশি মানুষ মারা যাবেন। প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ জারি রয়েছে শ্রীলঙ্কায়। সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রেসিডেন্ট, এমনটাই জানা গিয়েছে বিভিন্ন সূত্রে। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই আর্থিক সংকটের মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হওয়ায় শ্রীলঙ্কার ক্যাবিনেট মন্ত্রীরা পদত্যাগ করেছেন। টাইমস নাউ। শ্রীলঙ্কার আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, দেশটির উপকূলে নিম্নচাপের কারণে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। রোববার ভারী বৃষ্টিপাতের পর দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যম ডেইলি নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়, শ্রীলঙ্কার পশ্চিমাঞ্চল, সাবারাগামুওয়া, মধ্যপ্রদেশ, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তর প্রদেশের কিছু জায়গা, গলে ও মাতারা জেলায় আগামী কিছুদিন ১০০ মিলিমিটারের ওপর বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া শ্রীলঙ্কার অন্যান্য জায়গায় প্রায় ৭৫ মিলিমিটার পর্যন্ত ভারী বর্ষণ হতে পারে। একই সময় এসব এলাকায় অস্থায়ী দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে জনসাধারণকে পর্যাপ্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। নিম্নচাপের কারণে গলে থেকে হাম্বানটোটা হয়ে মাতারা পর্যন্ত সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এজন্য এসব এলাকায় অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসহ সব নৌযানকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এদিকে রোববার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় শ্রীলঙ্কার পাদুক্কায় ১৫৭.১ মিলিমিটার সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও আমপারা (১২৯.৫ মিমি), ইঙ্গিরিয়া (১২৯ মিমি), ওয়াল্লাওয়া (১০৮.৫ মিমি) ও থাব্বোওয়াতেও (১০২.৭ মিমি) ১০০ মিলিমিটারের ওপর বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। অন্যদিকে, রোববার সকালে শ্রীলঙ্কার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র তাদের সর্বশেষ বুলেটিনে বলেছে, কেগালে, রথনাপুরা, বাট্টিকালোয়া, বাদুল্লা, জাফনা, মাতালে, হাম্বানটোটা ও অনুরাধাপুরা জেলায় প্রবল বাতাস, বজ্রপাত ও ভূমিধসের ঝুঁকির কারণে এখন পর্যন্ত ৮২টি পরিবারের প্রায় ২৯৭ জন লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টাইমস নাউ,ডেইলি নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।