পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মুন্সীগঞ্জের শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের মুক্তি দাবি করে শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেছেন, ‘শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলকে সসম্মানে মুক্তি দিতে হবে। নইলে আমাকেও যেন গ্রেপ্তার করা হয়।’
বৃহস্পতিবার ভয়েস অব আমেরিকা বাংলাকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি একথা বলেন।
ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘মুন্সীগঞ্জের শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের সঙ্গে যা হয়েছে, তা আমার জন্য অত্যন্ত দুঃখের। দুঃখের এই কারণে যে, আমি শিক্ষকতা জীবনে বিজ্ঞানই পড়িয়েছি ছাত্র-ছাত্রীদের। আরও বেশি দুঃখের কারণ এই জন্য যে, দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বই যেটি বাংলাদেশের হাইস্কুল পর্যায়ে পড়ানো হয়, সেটি সম্পাদনার সঙ্গে আমি জড়িত। আমার সম্পাদনা বা রচিত একটি বই বাচ্চাদের যেখানে এইসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি, এই বই পড়ান এমন একজন শিক্ষককে করাগারে যেতে হয়েছে, এই দুঃখের তো কোনো শেষ নাই।’
ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমি শুধু একটি কথাই বলতে চাই, শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলকে সসম্মানে মুক্তি দিতে হবে। নইলে আমাকেও যেন গ্রেপ্তার করা হয়।’
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ২০ মার্চ বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির মানবিক শাখার ক্লাস নেওয়ার সময় হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল ‘ধর্ম অবমাননা’ করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়। এ ঘটনায় ২২ মার্চ মামলা করেন স্কুলের অফিস সহকারী মো. আসাদ। সেদিনই তাঁকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। ২৩ মার্চ তাঁকে আদালতে হাজির করলে আদালত আসামিকে জেল হাজতে পাঠায়।
গত ৪ এপ্রিল মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসামির জামিনের জন্য ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন তার আইনজীবী। সেদিন মামলাটিতে আসামির জামিন শুনানি আগামী ১০ এপ্রিল ধার্য করেন মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।