মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
শ্বাসতন্ত্রের প্রাণঘাতী রোগ করোনায় বৃহস্পতিবার বিশ্বজুড়ে যত মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, সুস্থ হয়ে উঠেছেন তার চেয়েও অধিক সংখ্যক। মহামারি শুরুর পর থেকে করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ সংখ্যা প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স জানিয়েছে এ তথ্য।
ওয়েবসাইটটির চার্ট বলছে, বৃহস্পতিবার বিশ্বজুড়ে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১১ লাখ ৫২ হাজার ২৮৭ জন এবং এই রোগে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৫৩৯ জনের। অন্যদিকে, এইদিন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১২ লাখ ৪৫ হাজার ৯২৫ জন।
গত দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে করোনা সংক্রমণের উল্লম্ফন ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। বৃহস্পতিবারও করোনা সংক্রমণে বিশ্বে শীর্ষ ছিল এই দেশটি। অন্যদিকে, কোভিডজনিত অসুস্থতায় এ দিন সর্বোচ্চ মৃত্যু ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ জন এবং কোভিডজনিত অসুস্থায় দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩৪৮ জনের। আর যুক্তরাষ্ট্রে এ দিন কোভিডজনিত অসুস্থতায় মৃতু হয়েছে ৪০৯ জনের এবং করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩২ হাজার ৬৫৯ জন।
দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র ব্যাতীত আরো যেসব দেশে বৃহস্পতিবার সংক্রমণ-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে, সেসব দেশ হলো— জার্মানি (নতুন আক্রান্ত ২ লাখ ৫৪৭ জন, মৃত ২৮৯ জন), ফ্রান্স (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ জন, মৃত ১০৫ জন), (আর্জেন্টিনা ৬৪ হাজার জন, মৃত ৩৩ জন), যুক্তরাজ্য (মৃত ৩১৭ জন, নতুন আক্রান্ত ২৯ হাজার ২২৯ জন), ব্রাজিল (মৃত ২৫৩ জন, নতুন আক্রান্ত ২৭ হাজার ১৩৯ জন) ও রাশিয়া (মৃত ২৮৭ জন, নতুন আক্রান্ত ১৪ হাজার ৩৫৫ জন)
বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৫ কোটি ৮১ লাখ ২৯ হাজার ৮৪১ জন। এই রোগীদের মধ্যে করোনা মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ৫ কোটি ৮০ লাখ ৭৫ হাজার ৩৮৩ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৫৪ হাজার ৫৫৮ জন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
ওয়ার্ল্ডেমিটার্সের তথ্য বলছে, মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৪৯ কোটি ৬৬ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫৩ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ৬১ লাখ ৯৫ হাজার ৬২৮ জনের। এছাড়া, এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৪৩ কোটি ২৩ লাখ ১৪ হাজার ১৮৪ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।