নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশ্বকাপের বাকি আর মাত্র সাত মাস। বিশ্বকাপ জেতার আশায় থাকা দলগুলো এখন নিজেদের প্রস্তুতির শেষভাগে চলে এসেছে। নিজেদের পরিকল্পনায় কোনো খুঁত থাকলে এখন সেগুলো ঘষামাজা করার সময়। এমন সময়ে হুট করে এক দুঃসংবাদ এসে ডাচ শিবিরকে ওলট-পালট করে দিল যেন! গতকাল নেদারল্যান্ডসের কোচ লুই ফন গালই দিয়েছেন দুঃসংবাদটা। জানিয়েছেন, প্রোস্টেট ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছেন তিনি। এত দিন মুখে কুলুপ এঁটে বসে ছিলেন। আপন মানুষদের বললেও শিষ্যদের জানাননি এই দুঃসংবাদ। ডাচ টিভি অনুষ্ঠান ‘উমবের্তো’-তে এসে সবাইকে এত দিন পর এ খবর জানিয়েছেন ৭০ বছর বয়সী এই কোচ। জানিয়েছেন, বাজে ধরনের এক প্রোস্টেট ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছেন। এর মধ্যে নাকি ২৫ বার রেডিও থেরাপিও নেওয়া হয়ে গেছে তার!
খবরটা শুনে আর দশজনের মতো হতবাক হয়ে গিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের অধিনায়ক সেন্টারব্যাক ভার্জিল ফন ডাইকও। কিন্তু লিভারপুলের তারকা হতভম্ব ভাব সামলে উঠেছেন পরক্ষণেই। জানিয়ে দিয়েছেন, প্রিয় কোচকে এমন সাফল্যমÐিত এক বিশ্বকাপ উপহার দেবেন তারা, যা ফন গাল কখনো ভুলতে পারবেন না। আজ বেনফিকার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগ খেলতে নামবে লিভারপুল। সে ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনেই এই কথা দিয়েছেন ফন ডাইক।
ফন ডাইক বেশ ভালোভাবেই জানেন, ফন গাল মানসিকভাবে কতটা শক্ত। যে কারণে ফন গালকে বেশি সহানুভ‚তি দেখালে যে কোচ ব্যাপারটা পছন্দ করবেন না, ফন ডাইক বোঝেন এটা, ‘আমিও বাকি সবার মতো খবরটা পেয়ে চমকে গিয়েছিলাম। সাক্ষাৎকারের পরপরই আমি তাঁকে একটা খুদেবার্তা পাঠাই। তার ভালো হোক, সে কামনা করি। তবে উনি সম্ভবত এমন কেউ নন, যিনি সহানুভ‚তি ব্যাপারটা পছন্দ করেন। উনি মানুষটাই এমন।’
মানুষ হিসেবে ফন গাল যতই শক্ত হন না কেন, এর মধ্যেই ফন ডাইকদের মনে একটা আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন। আর নেবেন নাই–বা কেন? গত ইউরোর দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নেওয়ার পর নেদারল্যান্ডসের হাল ধরে ৯ ম্যাচের ৬টিতেই জিতিয়েছেন ফন গাল। ডাচরা ড্র করেছে বাকি তিন ম্যাচে, এখন পর্যন্ত হারেনি কোনো ম্যাচ। এই ফর্ম বজায় থাকলে বিশ্বকাপে ভালো কিছু করার একটা আশা তো করাই যায়। বিশ্বকাপে ক্রুইফ-বাস্তেনদের দেশের সর্বোচ্চ সাফল্য তো সেই ১৯৭৪ আর ১৯৭৮ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা পর্যন্ত! ফন গালের এই দুঃসংবাদ যেন আরও ভালো করার অনুপ্রেরণা জাগাচ্ছে ফন ডাইকদের, ‘আমি বলেছি, তার যখন আমাদের দরকার হবে, আমরা দল হিসেবে তখনই তার পাশে থাকব। আশা করব, আমরা যেন তাঁকে এমন একটা বিশ্বকাপ উপহার দিতে পারে, যা তিনি কখনো ভুলবেন না।’
শুধু ফন ডাইকই নন, সাবেক ও বর্তমান শিষ্যের অনেকেই শুভকামনা জানিয়েছেন ফন গালকে। এই ফন গালের হাত ধরেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে অভিষেক হয়েছিল ইংলিশ ফরোয়ার্ড মার্কাস রাশফোর্ডের। নিজের বার্তাতে সে কথাই ফুটিয়ে তুলেছেন রাশফোর্ড, ‘আমার অভিষেক এলভিজির (লুই ফন গাল) অধীনেই। আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব তার প্রতি। আশা করি, উনি লড়ে ফিরে আসবেন আমাদের মধ্যে।’ পাশে থাকার বার্তা দিয়ে সাবেক ডাচ্ মিডফিল্ডার রাফায়েল ফন ডার ভার্ট লিখেছেন, ‘এই যুদ্ধে আমরা তোমার সঙ্গে আছি, লুই!’ একই বার্তা রবিন ফন পার্সির কণ্ঠেও, ‘তুমি পারবেই, লুই!’ শুভকামনা জানিয়েছেন বার্সেলোনা ও লেস্টার সিটির সাবেক ইংলিশ স্ট্রাইকার গ্যারি লিনেকারও, ‘শুভকামনা জানাচ্ছি লুই ফন গালকে, আশা করছি, তিনি যেন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন। তিনি ডাচ টেলিভিশনে ঘোষণা দিয়েছেন, প্রোস্টেট ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছেন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।