Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাকিস্তানে ৩ মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়: ইসি

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০২২, ১০:৫৪ এএম

পকিস্তানের রাজনীতিক পরিস্থিতি দিন দিন জটিল আকার ধারণ করছে। এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোট হওয়ার কথা ছিল গত রোববার। সার্বিক দিক বিবেচনায় এই ভোটে ইমরানের পরাজয় মোটামুটি নিশ্চিত ছিল, যেটি হলে ক্ষমতাচ্যুত হতেন তিনি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে খেলা পাল্টে দিয়ে অনাস্থা ভোট আটকে দিয়েছেন ইমরান খান। দেশটির জাতীয় পরিষদে খারিজ হয়ে গেছে অনাস্থা ভোটের আবেদন। এর পরপরই পাক প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে সংসদ ভেঙে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। আর এর মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছে আগাম নির্বাচনের পথ।

সংবিধানের ২২৪ নম্বর অনুচ্ছেদের ‘এ’ ধারার ৪ উপধারা অনুযায়ী এখন তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করা হবে। পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার পর তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও সার্বিক পরিস্থিতিতে পাকিস্তানে তা সম্ভব নয়। ইলেকশন কমিশন অফ পাকিস্তানের (ইসিপি) এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এতথ্য জানিয়েছে দ্য ডন।

ওই কর্মকর্তা বলছেন, তিন মাস নয়, নির্বাচনের আয়োজন করতে অন্তত ছয় মাস সময় লাগবে। এর পেছনে আইনি ও পদ্ধতিগত প্রক্রিয়ার জটিলতার কারণ উল্লেখ করেছেন পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের এই কর্মকর্তা।

নানা নাটকীয়কতার পর ৩ এপ্রিল ভেঙে দেয়া হয় পাকিস্তানের পার্লামেন্ট। সংবিধানের ২২৪ নম্বর অনুচ্ছেদের ‘এ’ ধারার ৪ উপধারা অনুযায়ী এখন তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করা হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ হওয়ার পরই ক্ষমতা থেকে বিদায় নেবেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। নিয়ম অনুযায়ী, পার্লামেন্ট ভেঙে যাওয়ার পর ৯০ দিনের মধ্যে নতুন সরকার গঠন করতে হবে।

ইসিপির কর্মকর্তা বলেন, ‘নির্বাচনী এলাকার নতুন সীমাবদ্ধতা, বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়ায় যেখানে ২৬তম সংশোধনীর অধীনে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং জেলা ও নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক ভোটার তালিকাগুলিকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ।’

তিনি জানান, পদ্ধতিগত সমস্যা সংকটে ন্যূনতম তিন মাসের প্রয়োজন। তারপর ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার আরেকটি বড় কাজ রয়েছে।

এই কর্মকর্তা বলেন, ‘নির্বাচনী সামগ্রী সংগ্রহ, ব্যালট পেপারের ব্যবস্থা এবং নির্বাচনী কর্মীদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণও চ্যালেঞ্জের বিষয়। আইন অনুযায়ী জল ছাপ দেয়া ব্যালট পেপার ব্যবহার করতে হবে যা দেশে পাওয়া যায় না, আমদানি করতে হবে।’

পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য এখন প্রধানমন্ত্রী খুঁজছে পাকিস্তান। এ প্রেক্ষাপটে বিদায় নিতে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান একজনের নামও জমা দিয়েছেন।

সোমবার সাবেক প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী করতে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি পাঠান ইমরান। এদিন সকালেই প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও বিরোধীদলীয় নেতা শাহবাজ শরিফকে চিঠি পাঠান রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি। এতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রীর জন্য নাম জমা দিতে বলেন তিনি।

অবশ্য পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার ব্যাপারটি নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি আদালতে। প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার পর দেশটির প্রধান বিচারপতি উমর আতা বানদিয়াল বলেছেন, বিষয়টি দেশের শীর্ষ আদালতের আদেশের অধীন। এ বিষয়ে আদালতই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ