নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সাম্প্রতিক ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলতে এবং ক্ষুব্ধ সমর্থকদের মন জয় করতে যেমন পারফরম্যান্সের দরকার ছিল, ঠিক সেটাই উপহার দিল পিএসজি। কিলিয়ান এমবাপের দুর্দান্ত নৈপুণ্যের ম্যাচে গোলের দেখা পেলেন নেইমার ও লিওনেল মেসিও- পিএসজির জার্সিতে এমএনএম ত্রয়ীর এক ম্যাচে গোল পাওয়ার ঘটনা দেখা গেল এই প্রথম। লরিয়েঁকে উড়িয়ে লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধারের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল। গতপরশু রাতে ঘরের মাঠে লিগ ওয়ানের ম্যাচটি ৫-১ গোলে জিতেছে পিএসজি।
বলা যায়, পিএসজির সবকিছুই ছিল এমবাপেকে ঘিরে। নিজে জোড়া গোল করার পাশাপাশি দুই সতীর্থের তিনটি গোলেই অবদান রাখেন তিনি। নেইমারও করেছেন দুটি গোল। পয়েন্ট তালিকার নিচের দিকের দলটির বিপক্ষে গত ডিসেম্বরে ১-১ ড্র করেছিল পিএসজি। এবার তাদের উড়িয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষস্থান আরও মজবুত করল তারা।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে আগের চার ম্যাচের তিনটিতে হার, কেবল লিগ ওয়ানের হিসাবে সবশেষ পাঁচ রাউন্ডের তিনটিতে ওই তেতো স্বাদ। এ সব ম্যাচে পিএসজির পারফরম্যান্স ছিল ভীষণ হতাশাজনক। আন্তর্জাতিক বিরতির আগে সবশেষ ম্যাচে মোনাকোর বিপক্ষে ৩-০ গোলে হারের ম্যাচে তারকায় ঠাসা দলটির প্রায় কারোরই শরীরি ভাষায় ছিল না মরিয়া ভাব।
দারুণ অবস্থানে থেকে রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে পড়ার তিক্ত অভিজ্ঞতাও হয়েছে এই সময়ে। সব মিলিয়ে ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দি মৌসুমের এই অধ্যায়টা নিশ্চিতভাবে ভুলে যেতে চাইবে পিএসজি। এবারের লিগ ওয়ানে ১৬ ম্যাচ খেলে নেইমারের গোল হলো ৭টি। ৩০ ম্যাচে ২১ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে পিএসজির পয়েন্ট ৬৮। সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে মার্সেই।
একই রাতে এক অসম্ভব জয়ের দিকে এগিয়ে চলেছে বার্সেলোনা। মৌসুমের শুরুর দলটির সঙ্গে বর্তমান দলটির মিল নেই সেটার প্রমাণ হরহামেশাই দিচ্ছেন পেদ্রি গনজালেসরা। শেষ ১৩ ম্যাচে হার নেই; কি রিয়াল মাদ্রিদ, কি অ্যাটলেটিকো, প্রতিপক্ষের জালে বার্সা চার গোল জড়াচ্ছিল অবলীলায়। তবু আক্ষেপ ছিল, বার্সা এত কিছুর পরেও যে লিগ তালিকার শীর্ষ দুইয়ে আসতে পারছিল না! অবশেষে সেভিয়াকে হারিয়ে সে আক্ষেপ মিটেছে দলটির। পেদ্রির একমাত্র গোলে ১-০ গোলে জিতে কাতালনরা চলে এসেছে লা লিগার শীর্ষ দুইয়ে।
বার্সেলোনা শেষ কিছু দিন ধরেই খেলছে মোহ জাগানিয়া ফুটবল। ফলও আসছে পক্ষে। যার ফলে চলতি মৌসুমের শুরুতে লিওনেল মেসির চলে যাওয়ার পর ন্যু ক্যাম্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া দর্শকরাও ফিরতে শুরু করেছেন ক্লাবের মাঠে। এদিন রাতের ম্যাচে যেমন এলেন ৯৯ হাজার দর্শক। এতে পারফরম্যান্সের অবদান যেমন আছে, ছিল দলটির শীর্ষ দুইয়ে ফেরার হাতছানিও। ন্যু ক্যাম্পে শুরুর আগে থেকেই ছিল উৎসব। সেটাই আরও বহুগুণে বাড়িয়ে পেদ্রি দলটিকে এনে দেন দারুণ গুরুত্বপূর্ণ এক জয়।
শুরু থেকেই বার্সা ছিল ছন্দে। আক্রমণও হচ্ছিল বেশ। তবে বার্সার পথ আগলে দাঁড়ান সেভিয়া গোলরক্ষক ইয়াশিন বনো। প্রথমার্ধে তাতে গোল পায়নি বার্সা। বিরতির পরও খেলা চলছিল একই রূপে, আক্রমণের পর পর আক্রমণ ছলছিল তবু মিলছিল না গোলের দেখা। ম্যাচের ৭২ মিনিটে পেদ্রির কল্যাণে মেটে সে আক্ষেপটাও। সেই এক গোলের ব্যবধানে জিতে বার্সা চলে এসেছে লিগের দুইয়ে। রিয়াল থেকে জাভি হার্নান্দেজের শিষ্যরা পিছিয়ে আছে এক ম্যাচ কম খেলে ১২ পয়েন্টে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।