গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীতে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় পাঁচ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে কাফরুলে এক গৃহকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু, লালবাগে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা এবং যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিবন্ধী যুবক নিহত হয়।
জানা গেছে রাজধানীর কাফরুলে মনিকা আক্তার নামে এক কিশোরী গৃহকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, মনিকাকে হত্যা করেছে তার গৃহকর্তা। অপরদিকে গৃহকর্তার দাবি মনিকা আত্মহত্যা করেছে। অপরদিকে লালবাগ শেখ সাহেব বাজার ১৫২ নম্বর বাসায় মৌসুমী আক্তার (২২) নামের এক কলেজ ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনা দু’টি ঘটে। লাশ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কাফরুল থানার পুলিশ জানায়, ৬৭৮/৮ উত্তর কাফরুলের বাসার গৃহকর্মী ছিলো মনিকা। গৃহকর্তা বলেছেন, মনিকা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহতের খালাতো ভাই সবুজ ব্যাপারি জানান, মনিকার বাবার আব্দুর রশিদ চৌকিদার। তাদের গ্রামের বাড়ি বরিশাল বাবুগঞ্জ এলাকায়। কোরবানির ঈদের পর মনিকা ওই ভবনের তৃতীয় তলা এস এম রবিউল ইসলামের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেয়। বৃহস্পতিবার রাতে আত্মহত্যার খবর শুনে তিনি ওই বাসায় ছুটে যান। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন মনিকা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, মনিকা আত্মহত্যা করে নি তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তারা মামলা করবেন।
লালবাগে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা
এ দিকে লালবাগে নিহত কলেজছাত্রী মৌসুমীর বাবা আলমগীর হোসেন জানান, মৌসুমী সিটি কলেজের বিবিএ শেষ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মৌসুমী তার নিজকক্ষে দরজা লাগিয়ে ছিল। দীর্ঘক্ষণ দরজা না খোলায় তাদের সন্দেহ হয়। অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখেন ফ্যানের সঙ্গে মৌসুমী ঝুলে আছে। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার আত্মহত্যার কারণ জানা যায় নি।
যাত্রাবাড়ীতে প্রতিবন্ধী যুবক ও তুরাগে বাস চাপায় নানী নাতির মৃত্যু
রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থানা এলাকায় বাস চাপায় আবদুল কাদের (৩০) নামে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবক নিহত হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার তুরাগ থানা এলাকায় বাস চাপায় মারা গেছে নানী ও নাতির।
পুলিশ ও মেডিক্যাল সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে যাত্রাবাড়ী থানাধীন রায়েরবাগের আবাসন প্রজেক্টের পাশে রাস্তা পারাপারকালে বাসের চাপায় গুরুতর আহত হন শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবক আবদুল কাদের। গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পরপরই চালক বাসসহ পালিয়ে যায়। নিহত আবদুল কাদের রায়েরবাগের বাসিন্দা। তার বাবার নাম সালাউদ্দিন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তুরাগ থানাধীন তালতলা বেরিবাঁধ এলাকায় বাস চাপায় নিহত হন রিজিয়া বেগম (৬০) এবং তার নাতনি ইথি মনি (৪)। সৈকত পরিবহনের এ বাসের (ঢাকা মেট্রো-গ ১১-৬৬২৩) চাপায় ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।