নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আগামী সপ্তাহে দুবাইয়ে আইসিসির সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করা হবে চারদলীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রস্তাব। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান রমিজ রাজার মস্তিস্কপ্রসূত এই সিরিজ থেকে ৬৫ কোটি মার্কিন ডলার আয় হবে বলে আশা করছেন পিসিবি কর্তারা।
গত জানুয়ারিতে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনার কথা প্রথম জানা যায়। ভাবনা অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত ও পাকিস্তানকে নিয়ে প্রতি বছর একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হবে। প্রাথমিক পর্বে প্রতি দল একবার করে পরস্পরের মুখোমুখি হবে। গ্রুপ পর্বে মোট ম্যাচ হবে তাই ৬টি। এরপর ফাইনাল এক ম্যাচের হতে পারে কিংবা তিন ম্যাচের। পর্যায়ক্রমে চার দেশই টুর্নামেন্টের আয়োজক হবে। টুর্নামেন্টের নিয়ন্ত্রণ থাকবে আইসিসির।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সিরিজ, আইসিসিরি নানা টুর্নামেন্ট ও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোর ঠাসা সূচির মধ্যে চারদলীয় সিরিজের একটি সম্ভাব্য সময়ও পিসিবি বের করেছে বলে খবর ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে কোনো এক সময়ে তারা টুর্নামেন্টটি করতে চায়। কারণ, অস্ট্রেলিয়া-ভারত-পাকিস্তানে তখন মৌসুম শুরুর সময়, ইংল্যান্ডে শেষের সময়।
টুর্নামেন্টের মূল লক্ষ্য, বিপুল পরিমাণ আর্থিক ফায়দা। সম্ভাব্য ৬৫ কোটি ডলারের বড় অংশই সম্প্রচার সত্ত্ব ও বাণিজ্যিক চুক্তি থেকে আসবে। আইসিসি ও অন্যান্য সদস্য দেশগুলোকে রাজি করানোর উপকরণও থাকছে প্রস্তাবে। শুধু অংশগ্রহণকারী চার দলই আর্থিকভাবে লাভবান হবে না, আয়ের একটা বড় অংশ দেওয়া হবে আইসিসির অন্যান্য পূর্ণ ও সহযোগী দেশগুলোকে। আয়ের কত অংশ কারা পাবে, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।
আইসিসির এবারের সভায় ২০২৩ থেকে ২০৩১ চক্রে দলগুলির ভবিষ্যৎ সফরসূচীর সম্ভাব্য ছবি অনেকটা পরিষ্কার হবে। এই সভায়ই পিসিবির প্রধান নির্বাহী ফয়সাল হাসনাইনকে নিয়ে রমিজ রাজা প্রস্তাবটি উপস্থাপন করবেন বলে জানায় ইএসপিএন ক্রিকইনফো। তবে আর্থিক লাভের টোপের পরও প্রস্তাবটি আইসিসি ও অন্যান্য সদস্য দেশগুলো কীভাবে গ্রহণ করবে, তা নিয়ে সংশয়ের জায়গা আছে বেশ। টুর্নামেন্টের নিয়ন্ত্রণ আইসিসিকে রাখা হলেও তাদের নিজেদের ইভেন্টের অভাব নেই এমনিতেও। আগামী চক্রে বৈশ্বিক আসর বাড়ছে আরও।
ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও ক্রিকেটীয় সম্পর্কের শীতলতাও এই টুর্নামেন্টের পথে একটি বড় বাধা। রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে আইসিসি ও এসিসি টুর্নামেন্টের বাইরে মুখোমুখি হয় না এই দুই দল। সেটি মূলত ভারতীয় সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণেই। প্রস্তাবিত এই টুর্নামেন্টে ভারতীয় বোর্ডের সায় থাকলেও তাদের সরকার কতটা রাজি হবে, তা নিয়ে বড় প্রশ্ন থাক
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।