Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে মহাসমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই

গুলিস্তানে লাখো জনতার ঢল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০২২, ৬:৫৩ পিএম

আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। আগামী সংসদ নির্বাচনে জনগণ আর কোনো তামাশার নির্বাচন মেনে নিবে না। কারচুপির ইভিএম এর ভোট গহণের পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। জাতীয় সংসদ বহাল রেখে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার গঠন করে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। জনগণের দুশমনদের পরাজিত করতে না পারলে দেশে শান্তি আসবে না। দুর্নীতিবাজদের চিরতরে বয়কট করতে হবে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ এবং মাদক দ্রব্য নিষিদ্ধ করতে হবে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, শিক্ষা সিলেবাসে ধর্মীয়শিক্ষা সংকোচন বন্ধ, ইসলাম দেশ ও মানবতাবিরোধী বিধিমালা ২০২২ বাতিল, স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত কল্যাণরাষ্ট্র গঠনে ইসলামী হুকুমত কায়েমের লক্ষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে আজ বাদ জুমা রাজধানীর ঐতিহাসিক গুলিস্তান শহিদ মতিউর রহমান পার্কে (গুলিস্তান পার্ক) জাতীয় মহাসমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে দলের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন। এসব দাবি দাওয়া পূরণের লক্ষ্যে পীর সাহেব চরমোনাই আগামী ১৩ মে থেকে কয়েকটি বিভাগীয় সমাবেশ এবং আগামী ১ জুলাই ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। অবিলম্বে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধসহ বিভিন্ন দাবি পূরণ করা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণারও হুমকি দেন পীর সাহেব চরমোনাই।
উল্লেখ্য, রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় মহাসমাবেশের ঘোষণা দিলে সরকার সেখানে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। এশাধিক শর্তের বিনিময়ে সরকার আজ গুলিস্তান পার্কে সমাবেশের অনুমতি দেয়। সকাল থেকেই সারাদেশ থেকে বিভিন্ন যানবাহন যোগে সমাবেশ স্থলে দলীয় লোকজন জড়ো হতে থাকে। দুপুর ১২টার মধ্যেই সমাবেশ স্থলে লাখো জনতার ঢল নামে। গুলিস্তান, মতিঝিল, ফকিরাপুল, টিকাটুলি, মৎস ভবন, পল্টন, বিজয়নগর, প্রেসক্লাব, নবাবপুর , ফুলবাড়িয়া এলাকায় বাস ও যানবাহন রেখে দলীয় নেতা কর্মীরা পায়ে হেঁটে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে যোগদান করেন। এসময়ে গোটা এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে হাজার হাজার পথচারী চরম দুর্ভোগের কবলে পড়েন। শত শত স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা সমাবেশ স্থলে শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব পালন করেছে। এয়াড়া সমাবেশের চার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। দলের প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ূমের পরিচালনায় সমাবেশে আরো যেসব নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন, তারা হচ্ছেন, দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল আউয়াল পীর সাহেব খুলনা, মাওলানা আব্দুল হক আজাদ, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন্দ, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইফনুছ আহমাদ, সাবেক এমপি প্রফেসর ডা. আব্বাস আলী, ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ, দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আতিকুল ইসলাম, চরমোনাই মরহুম পীর সাহেবের ছাহেবজাদা মাওলানা মুফতি আবুল খায়ের ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ