Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিরিয়ায় মাটির নিচে বসবাস

রাত কাটে আতঙ্কে। দিনের আলো ফোটার পর বোমা বন্ধ হলে সবাই ফিরে যায় স্বাভাবিক জীবনে

প্রকাশের সময় : ১২ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : রাজধানী দামেস্কর পূর্বাঞ্চলীয় ঘাউতা এলাকার সবচেয়ে বড় শহর দুমা। বিদ্রোহীদের দখলে থাকা এই শহরে এক লাখের বেশি মানুষের বাস। সিরিয়ার সেনারা রোজ সেখানে বিদ্রোহীদের উৎখাতে হামলা চালাচ্ছেন। বিকট শব্দে একের পর এক বোমা পড়ছে। বিরামহীন এই বোমার ভয়ে সিরিয়ার দুমায় এখন মানুষজন সব মাটির নিচে ঘর করে থাকছে।
দুমার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণের ধরন বুঝে দুমার মানুষ সিদ্ধান্ত নেয়, মাটির নিচ থেকে তারা বেরিয়ে আসবে কি না। দুমার দৈনন্দিন জীবনে কিছু আবশ্যক উপাদান এখন মাটির ওপর থেকে নিচে স্থানান্তরিত হয়েছে। অনেক স্কুল, শিশুদের খেলাধুলার জায়গা, খাবারের দোকান ও ক্লিনিক এখন মাটির নিচে। দিনের বেলা আকাশটা মুক্ত থাকলে, সেখানে জীবন চলে স্বাভাবিক গতিধারায়। শিশুরা কলহাস্য করতে করতে স্কুলে যায়। সবজি বিক্রেতা খোলা আকাশের নিচে সবজি বিক্রি করেন। অন্য সব কাজ আপন গতিতে চলে। যেই না বোমা ফেলা শুরু হয়, হুড়মুড়িয়ে ছুটে সবাই ঠাঁই নেয় আশ্রয়স্থলে। রাতভর কাটে আতঙ্কে। দিনের আলো ফোটার পর বোমা বন্ধ হলে তবেই সবাই ফিরে যায় নিজ নিজ জীবনে।
দুমার বাসিন্দা আবু ওমর বোমা আর গোলা থেকে রক্ষা পেতে মাটির নিচে চার মিটার গভীর একটি কামরা তৈরি করেছেন। এর ভেতরে ছোট্ট একটি গালিচা বিছানো। আলোর ব্যবস্থা আছে। আছে ঘরের কিছু জিনিস। আবু ওমর বলেন, সকালে বিমান হামলার শব্দ পেলেই তাঁর ভাতিজা ও ভাতিজির স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। তারা নড়বড়ে কাঠের মই বেয়ে মাটির নিচের কামরায় আশ্রয় নিতে ঢুকে পড়ে। বেশ কয়েক ঘণ্টা এখানে লুকিয়ে থাকতে হয়। আবু ওমর বলেন, মাটির নিচের এই কামরাটি ১৫ দিনে খুঁড়েছি। এএফপি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিরিয়ায় মাটির নিচে বসবাস
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ