নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জয়ের মঞ্চ তৈরি হয়ে গিয়েছিল আগের দিনই। ক্রিস ওকস ও জ্যাক লিচের প্রতিরোধে অপেক্ষাটা যা একটু বাড়ল। লক্ষ্যটা তবু থাকল ছোটই। ইংল্যান্ডকে সহজেই হারিয়ে সিরিজ জিতে নিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অ্যান্টিগা ও বারবাডোজে প্রথম দুই টেস্ট ড্রয়ের পর সিরিজের ফলসালা হলো গ্রেনাডায়। গতপরশু রাতে তৃতীয় টেস্টের চতুর্থ দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতল ১০ উইকেটে। ২৮ রানের লক্ষ্য তারা ছুঁয়ে ফেলল ২৯ বলে। ঘরে তুলল ‘রিচার্ডস-বোথাম ট্রফি।’
গত অ্যাশেজে ভরাডুবির পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে এই হার, এ নিয়ে টানা চারটি টেস্ট সিরিজ হারের তেতো স্বাদ পেল ইংল্যান্ড। ভারতের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা অসমাপ্ত সিরিজটা ধরলে সংখ্যাটা হবে পাঁচ। জো রুটের দল এই নিয়ে জয়হীন রইল টানা ৯ টেস্টে। সবশেষ ১৭ টেস্টে তাদের জয় কেবল একটি।
ইংল্যান্ড এদিন ব্যাটিং শুরু করে ৮ উইকেটে ১০৩ রান নিয়ে। লিড তখন কেবল ১০ রানের। এদিন তারা যোগ করতে পারে আর ১৭ রান। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান ওকস ও লিচ কাটিয়ে দেন প্রায় পৌনে এক ঘন্টা। ওকসকে (৫০ বলে ১৯) ফিরিয়ে প্রতিরোধ ভাঙেন কিমার রোচ। লেগ গালিতে দারুণ ক্যাচ নেন জেসন হোল্ডার। ওই ওভারেই লিচের শটে পয়েন্টে অল্পের জন্য ফিল্ডারের হাতে যায়নি বল। অপেক্ষা অবশ্য বেশি দীর্ঘয়িত হয়নি। রোচ নিজের পরের ওভারেই লিচকে (৫৫ বলে ৪) বিদায় করে ১২০ রানে গুটিয়ে দেন ইংলিশদের। ক্যারিবিয়ানরা উইকেটটা পায় রিভিউ নিয়ে। কট বিহাইন্ডের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। আল্ট্রা এজে ব্যাটে বলের স্পর্শের প্রমাণ মেলে।
পরে ছোট লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলতে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও জন ক্যাম্পবেলের লাগে কেবল ২২ মিনিট। ২১ বলে ৩ চারে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েট। শেষটা একপেশে মনে হলেও আগের দিন একটা সময় ম্যাচে দুই দলই ছিল প্রায় সমতায়। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ২০৪ রানের জবাবে এক সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ছিল ৭ উইকেটে ১২৮। সেখান থেকে জশুয়া দা সিলভার দুর্দান্ত সেঞ্চুরি ও লোয়ার অর্ডারদের নিয়ে লড়াই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথম ইনিংসে এনে দেয় ৯৩ রানের মহামূল্য লিড। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে কাইল মেয়ার্সের বোলিংয়ে বিধ্বস্ত হয় ইংল্যান্ড।
এই টেস্টের একাদশে মেয়ার্সকে ফেরানো হয় মূলত ব্যাটিংয়ের জন্য, সেই তিনি মিডিয়াম পেসে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭ ওভারে ১৮ রানে নেন ৫ উইকেট। প্রথম ইনিংসেও নিয়েছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ২ উইকেট। সেঞ্চুরির জন্য ম্যাচের সেরা যদিও কিপার-ব্যাটসম্যান জশুয়া। সর্বোচ্চ ৩৪১ রান করে সিরিজ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন ব্র্যাথওয়েট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড : ২০৪ ও ২য় ইনিংস : ৬৪.২ ওভারে ১২০ (আগের দিন ১০৩/৮) (ওকস ১৯, সাকিব ২৩*; রোচ ২/১৯, সিলস ১/২৬, মেয়ার্স ৫/১৮, জোসেফ ১/৩৪)।
উইন্ডিজ : ২৯৭ ও ২য় ইনিংস : (লক্ষ্য ২৮) ৪.৫ ওভারে ২৮/০ (ব্র্যাথওয়েট ২০*, ক্যাম্পবেল ৬*; ওকস ০/১৩, সাকিব ০/১৩)।
ফল : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১০ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : জশুয়া দা সিলভা।
সিরিজ : ৩ ম্যাচে ১-০ তে জয়ী উইন্ডিজ।
সিরিজ সেরা : ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।