মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নতুন করে ন্যূনতম করের আওতায় আসছে যুক্তরাষ্ট্রের অতিধনীরা। ২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ করের প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। বার্ষিক ১০ কোটি ডলারের অধিক আয় করা পরিবারগুলোর ওপর ২০ শতাংশ ন্যূনতম কর প্রস্তাব করা হবে। দেশটির সাত শতাধিক বিলিয়নেয়ারকে লক্ষ্য করে এ পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে আগামী দশকে বাজেট ঘাটতি ১ লাখ কোটি ডলারের বেশি কমিয়ে আনতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। খবর এপি। ধনী মার্কিনদের ওপর ন্যূনতম কর প্রবর্তনের মাধ্যমে ট্যাক্স কোডের একটি উল্লেখযোগ্য পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, দেশটির অতি ধনীরা তাদের সম্পদের বিপরীতে খুব বেশি কর দেয় না। এবার তারা করের মখোমুখী হতে যাচ্ছেন। এ উদ্যোগ থেকে আসা রাজস্ব জো বাইডেনের অভ্যন্তরীণ ব্যয়ের উচ্চাকাক্সক্ষা এবং পর্বতসম বাজের ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে। ২০২৩ সালের বাজেট প্রস্তাবটি উপস্থাপন করবেন জো বাইডেন। এ প্রস্তাব মহামারীর বিপর্যয় কাটিয়ে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের চিত্রকেও প্রতিফলিত করে। এ উদ্যোগে মহামারী মোকাবেলায় ব্যয়ের ঐতিহাসিক উল্লম্ফনের পরে সরকারের ব্যালান্স শিট উন্নত করবে। মহামারীর প্রভাব ম্লান ও অর্থনীতির গতি ত্বরান্বিত হওয়ায় এরই মধ্যে সরকারের বাজেট ঘাটতি কমতে শুরু করেছে। ২০২০ অর্থবছরে (অক্টোবর-সেপ্টেম্বর) ৩ লাখ ১০ হাজার কোটি ডলার থেকে বাজেট ঘাটতি ২০২১ অর্থবছরে ২ লাখ ৮০ হাজার কোটি ডলারে নেমেছে। চলতি অর্থবছরে এটি ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলার হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। মহামারীর বিপর্যয় থেকে বেরিয়ে আসতে প্রণোদনাসহ বিপুল পরিমাণ ব্যয় করে যুক্তরাষ্ট্র। এ ব্যয়ের ওপর ভর করে গত বছর দেশটির অর্থনীতি ৫ দশমিক ৭ শতাংশ প্রসারিত হয়েছিল। ১৯৮৪ সালের পর এটিই সবচেয়ে শক্তিশালী বৃদ্ধি। তবে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি এমন প্রবৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। চার দশকের সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি জো বাইডেনের জনপ্রিয়তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। আগামী ১ অক্টোবর শুরু হতে যাওয়া অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবটি তুলে ধরে বিপুল পরিমাণ ব্যয় অর্থনীতির সম্প্রসারণকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করেছে। এমন পরিস্থিতিতে করারোপের মাধ্যমে রাজস্ব বাড়িয়ে সরকারি অর্থকে আরো স্থিতিশীল করতে চায় সরকার। হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা বলেন, বাজেট প্রস্তাবটি এখনো প্রকাশ হয়নি। তবে প্রস্তাবটি প্রমাণ করে যে ডেমোক্র্যাটরা খুব বেশি সাফল্য ছাড়াই রিপাবলিকানদের পূর্বের দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারে। অর্থনীতির দ্রুত বৃদ্ধি এবং বাজেট ঘাটতি কমিয়ে আনার মাধ্যমে এটি প্রমাণ হয়েছে। তবে সম্পদ কর বৃদ্ধি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেক রিপালিকান। তারা বলছেন, জো বাইডেনের এ পদক্ষেপ ধনী ব্যক্তিদের দেশের বাইরে সম্পদ সরিয়ে নিতে প্ররোচিত করবে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোয় ব্যক্তিগত বিনিয়োগ কমে যাবে। ফলে কর্মসংস্থান কমে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কেনটাকির রিপাবলিকান সিনেটর মিচ ম্যাককনেল অভিযোগ করেন, গত এক বছরে জো বাইডেন প্রশাসনের উচ্চ ব্যয় মার্কিনদের আরো আর্থিক যন্ত্রণায় ফেলে দিয়েছে। কম সুদের হার, সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা এবং সর্বশেষ ইউক্রেন যুদ্ধ মূল্যস্ফীতিকে আতঙ্কজনক পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ কভিডজনিত প্রণোদনার পাশাপাশি জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে দূরে সরে যাওয়ার জন্য এ চাপ আরো বেড়েছে বলেও মনে করেন তিনি। জো বাইডেন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের উত্তরাধিকার সূত্রে পর্বতসম বাজেট ঘাটতি পেয়েছেন। এ ঘাটতি মার্কিন জিডিপির ১৪ দশমিক ৯ শতাংশের সমান ছিল। তবে আসন্ন অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৫ শতাংশের নিচে থাকবে। এ পরিস্থিতি অর্থনীতিকে টেকসই পথে নিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।