Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

থেমে নেই চেরনোবিল স্পিরিটের উৎপাদন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০২২, ১২:০৬ এএম

ইউক্রেনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনা শুরু করে রাশিয়া। এই সংঘাতের মধ্যেই চেরনোবিলে বিশেষ পানীয়র উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। সংঘাতের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আরও দুটি প্রিমিয়াম ড্রিংক বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে। ১৯৮৬ সালে চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্ঘটনা ঘটে। এই পারমাণবিক দুর্ঘটনাকে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ও বিপর্যয় হিসেবে গণ্য করা হয়। ওই ঘটনার পর তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয়দের সরিয়ে নেওয়া হয়। সেখানে কয়েক দশক ধরে শস্য উৎপাদন নিয়ে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণার পর যেসব শস্য থেকে যায় সেগুলো নিয়ে পরে তারা অ্যালকোহল উৎপাদন শুরু করেন। বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা পর্যায়ে ছিল। বিজ্ঞানীরা তাদের তৈরি স্পিরিট ড্রিংকের নাম দেন অ্যাটমিক। এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য ছিল চেরনোবিলে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার বাগানে উৎপন্ন সামান্য পরিমাণে তেজস্ক্রিয় ফলকে পাতনের মাধ্যমে স্পিরিটে রূপান্তর করা হলে তাতে তেজস্ক্রিয়তা তেমন থাকে না; তা দেখানো। এ উদ্যোগ থেকে প্রাপ্ত মুনাফা দেওয়া হতো চেরনোবিলের দুর্ঘটনাস্থলের পাশ্ববর্তী বঞ্চিত অঞ্চলের মানুষদের। চেরনোবিলে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশ্ববর্তী যে এলাকায় ফল চাষ করা হয় সে এখন এলাকা দখল করে নিয়েছে ইউক্রেনে অভিযান চালাতে আসা রুশ বাহিনী। তারপরও কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে উদ্যোক্তারা। মুনাফার কিছু অংশ সম্প্রতি দেওয়া হয়েছে ইউক্রেনের শরণার্থীদেরও। বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চেরনোবিল স্পিরিটের উৎপাদন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ