Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মানুষ শোষণ ও বঞ্চনার হাত থেকে মুক্তি পায়নি: জিএম কাদের

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ মার্চ, ২০২২, ৭:৫৩ পিএম

নানাভাবে দুর্নীতি-বঞ্চনা ও শোষণ- নিপীড়নে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। তিনি বলেন, আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু দেশের মানুষ যে মুক্তিলাভের জন্য স্বাধীনতার ডাকে সাড়া দিয়েছিল, সে মুক্তি আজও মেলেনি। দেশের মানুষ চেয়েছিল বৈষম্য, বঞ্চনা থেকে মুক্তি। তারা চেয়েছিল শোষণমুক্ত একটি দেশ। তারা চেয়েছিল তাদের মালিকানা, তাদের জন্য একটি দেশ, বাংলাদেশ।

শনিবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) কাউন্সিল হলে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। জিএম কাদের বলেন, বৈষম্য, শোষণ আর বঞ্চনার প্রতিবাদ ও প্রতিরোধেই প্রথমে স্বাধিকার তারপর স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছিল। স্বাধীনতার ৫১ বছর পর হলেও দেশের মানুষ বৈষম্য, শোষণ ও বঞ্চনার হাত থেকে মুক্তি পায়নি।

তিনি বলেন, আমরা ছিলাম শোষণ, নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার। এখন বিশেষ করে ৯১-এর পর থেকে সরকার, সরকারি দলের মানুষও সাধারণ মানুষের মধ্যে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না হলে সরকারি চাকরি মেলে না। সরকারি দলের জার্সি না পরলে ব্যবসা করা কঠিন। নানাভাবে দুর্নীতি, বঞ্চনা, শোষণ-নিপীড়নে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দলের মানুষেরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে।

এসময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, যত বাধা আসুক আমরা জনগণের স্বার্থ রক্ষায় রাজপথে থাকবো। দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চলবে।

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, যে লক্ষ্যে আমরা স্বাধীনতা সংগ্রাম করেছি সেই লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। যাদের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ করেছি তারাই এখন ব্যাংকের মালিক হচ্ছে, তারাই এখন গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির মালিক। আর প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা শুধু ভাতা নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ২২ পরিবারের বিপরীতে এখন ২২ হাজার পরিবার সৃষ্টি হয়েছে। ধনী ও গরিবের মধ্যে বৈষম্য অনেক বেড়ে গেছে।

অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, বঙ্গবন্ধুর পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার মিয়া। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও জাতীয় সাংস্কৃতিক পাটির আহ্বায়ক শেরীফা কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফকরুল ইমাম এমপি, সুনীল শুভ রায়, এসএম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমা আক্তার এমপি, আলমগীর সিকদার লোটন, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জিএম কাদের


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ