পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ও দুর্নীতির প্রতিবাদে গতকাল দেশের কয়েক জেলায় বিএনপি গণঅনশ পালন করেন। কর্মসূচিতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ ছিলো চোখে পরার মতো। এসময় সভায় বক্তারা বলেন, সরকারি দলের নেতা ও ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্তরা আজ মানবেতর জীবনযাপন করছে। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর বিস্তারিত :
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ও দুর্নীতির প্রতিবাদে গতকাল নগরীর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেছে মহানগর বিএনপি। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ওই কর্মসূচিতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিএনপির এ কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করা হয়।
এ সময় বিএনপি নেতারা বলেন, জনগণের ভোট ছাড়া নির্বাচিত সরকার জনচাহিদা পূরণে চরম ব্যর্থ হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ এখন দিশেহারা। সরকারি দলের নেতা ও ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ফলে দেশে এখন দুর্ভিক্ষ অবস্থা বিরাজ করছে বলে অভিযোগ করেন তারা। টিসিবির পণ্য দেয়ার নামে অসহায় মানুষের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে হতদরিদ্র মানুষ হতাশ হয়ে ফেরত যাচ্ছেন। পরে কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন নগর বিএনপির আহŸায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আহŸায়ক আবু সুফিয়ানকে পানি ও জুস পান করিয়ে অনশন ভঙ্গ করান। এ সময় বিএনপি নেতা এম এ আজিজ, মো. মিয়া ভোলাসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা ব্যুরো জানায়, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে প্রতিকী অনশন কর্মসূচি পালন করেছে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর তিনটা পর্যন্ত নগরীর কেডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ অনশন কর্মসূচি পালন করা হয়। অনশন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট. শফিকুল আলম মনা। সভায় বক্তব্য রাখেন, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, কাজী মাহামুদ আলী, আজিজুল হাসান দুলু, শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলালসহ প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, চাল, ডাল, তেল ও পেঁয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্তরা আজ মানবেতর জীবনযাপন করছে। এর জন্য সরকার দায়ি। সকল ব্যর্থতার দায় নিয়ে এই অগণতান্ত্রিক সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে এবং একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জনগণের কল্যাণমুখী সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অনশন কর্মসূচিতে মহানগর ও জেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ও সরকারের লাগামহীন দুর্নীতির প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার গণঅনশন কর্মসূচি পালন করেছে গাজীপুর মহানগর বিএনপি। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার। তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধিতে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
নগরীর রাজবাড়ি রোডস্থ মহানগর বিএনপি কার্যালয় প্রাঙ্গনে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃৃবৃদ্ধ খন্ড খন্ড মিছিল সহকারে অনশনস্থলে আসেন। সেখানে মহানগর বিএনপির আহŸায়ক সালাহ উদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মো. সোহরাব উদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মাজহারুল আলম, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহŸায়ক শওকত হোসেন সরকার, মহানগর বিএনপি নেতা আহমেদ আলী রুশদী, অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান এলিস, কাউন্সিলর হান্নান মিয়া হান্নু, হুমায়ুন কবীর রাজু, ভিপি জয়নাল আবেদীন তালুকদার, কাউন্সিলর হাসান আজমল ভ‚ইয়া, সরকার জাভেদ আহমেদ সুমন, বশির আহমেদ বাচ্চু, সাবেক কাউন্সিলর শেখ মো. আলেক, নূর মোহাম্মদ, সাজ্জাদুর রহমান মামুন, মনির হোসেন বকুল, মহানগর যুবদলের আহŸায়ক এজিএস সাজেদুল ইসলাম, সদস্য সচিব মাহমুদ হাসান রাজু, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমসহ প্রমুখ। সভা শেষে নেতৃবৃন্দকে শরবত দিয়ে অনশন ভাঙ্গায় সাংবাদিক ইউনিয়ন গাজীপুরের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।