নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কিছুতেই যেন ঘোরটা কাটছে না! দক্ষিণ আফ্রিকায় গতপরশু রাতে বাংলাদেশ দলের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের পর ক্রিকেটার থেকে সংশ্লিষ্ট সবার মনেই যেন ঈদের আনন্দ। অভিনন্দন আর শুভেচ্ছাবাণীতে ক্রিকেটাঙ্গন যখন মুখর, তখন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নিজ কাজে ব্যস্ত। বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দুটি খেলা হচ্ছে। ম্যাচ দেখতে সকাল সকাল তিনি মাঠে হাজির। ওয়ানডে দলের সিরিজ জয়ের আনন্দ মাঠ থেকেই জানালেন মিনহাজুল, ‘ঐতিহাসিক জয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারা বিরাট ব্যাপার। সবারই অবদান আছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় আমরা এমন ক্রিকেট খেলব, এটা তো কারও চিন্তায় ছিল না। এভাবে ঘুরে দাঁড়ানো আমাদের ক্রিকেটের জন্য বিরাট একটা মাইলফলক। এটা আমাদের ক্রিকেটে যদি ধারাবাহিকভাবে থাকে, তাহলে আশা করছি আমরা সামনেও ভালো করব।’
দলে অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা তো ছিলেনই। ছয় মাস আগেও বাংলাদেশ দলে নতুন ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স নিয়ে নির্বাচকদের অনেক সমালোচনা শুনতে হয়েছে। এ বছরের শুরু থেকেই পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে। বাংলাদেশকে এখন ম্যাচ জেতাচ্ছেন অপেক্ষাকৃত কম অভিজ্ঞরা। নির্বাচক হিসেবে মিনহাজুলের বড় তৃপ্তি এটাই, ‘এটাই নিয়ম। এই প্রক্রিয়ায় না থাকলে দল ভালো করে না। প্রক্রিয়াটা থাকা জরুরি। সিনিয়র-জুনিয়র মিলে যে সমন্বয়, তা যেকোনো দলের জন্য বিরাট ব্যাপার। এই সমন্বয়ের জন্যই একটা দলটা ভালো করছে। এটা অনেক বড় তৃপ্তির ব্যাপার।’ আলাদা করে ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের প্রশংসাও করলেন সাবেক এই ক্রিকেটার, ‘অধিনায়কত্ব এককথায় অসাধারণ। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। বোলারদের সামলানো, ফিল্ডিং সাজানো- এই সিরিজ সবকিছুই ভালো ছিল।’
মিনহাজুলের নির্বাচক প্যানেলের আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স ভালো করা। গত জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডে টেস্ট জয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজ জয় সে স্বপ্নকেই বাস্তবে রূপ দিচ্ছে। মিনহাজুল অবশ্য এই অর্জনকে আরও অনেক অর্জনের শুরু হিসেবে দেখছেন, ‘৫০ ওভারের খেলায় আমাদের দলে একটা ভারসাম্য আছে। সব সময়ই সেটা আমরা বলি। এবার দেশের বাইরে সেটা করে দেখিয়েছি। আমি মনে করি আমাদের আরও ভালো করার সামর্থ্য আছে। এখন যা হচ্ছে, সেটা শুরু মাত্র। আমরা যদি প্রক্রিয়ামাফিক আগাই, তাহলে দেখবেন শুধু ওয়ানডে নয়, সব সংস্করণেই দেশের বাইরে ভালো করব।’
তবে সে জন্য ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়িয়ে দেওয়ার কাজটা অব্যাহত রাখতে হবে। ভিড় বাড়াতে হবে পাইপলাইনে। এ ব্যাপারে মিনহাজুল বলছিলেন, ‘কাজ করার সুযোগ অবশ্যই আছে। কিছু কিছু ক্রিকেটার আছে, যাদের দেশে ও দেশের বাইরে খেলানো নিয়ে কাজ করি। কাকে কখন, কোথায় খেলানো যায়, এসব নিয়ে কাজ করি। আমাদের পুলটা যদি আরও সমৃদ্ধ করা যায়, তাহলে দেখবেন দলও শক্তিশালী হবে।’
এ তো গেল দূরবর্তী ভবিষ্যতের কথা। নিকট ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সামনে দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজে ভালো করার সুযোগ অপেক্ষা করছে। প্রধান নির্বাচক অবশ্য এখনই টেস্ট নিয়ে কিছু বলতে চাইলেন না। হয়তো ওয়ানডের সাফল্যটা আগে মন ভরে উপভোগ করতে চাচ্ছেন মিনহাজুল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।