গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের হাজতখানা থেকে সাইফুল ইসলাম নামে মাদক মামলার এক আসামি পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্রে জানা গেছে, হেরোইনসহ সাইফুল ইসলামকে গত সোমবার কদমতলী থানার তুষারধারা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত মঙ্গলবার দুপুরে তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে কদমতলী থানা পুলিশ সাইফুলকে আদালতে পাঠায়। সেখান থেকে মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১টা থেকে ২টার মধ্যে যেকোনো সময় পালিয়ে যান সাইফুল। মঙ্গলবার পালালেও বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টি জানা গেছে আদালত সূত্রে। বুধবার কোতোয়ালি থানার মামলার এজাহারটি আদালতে আসে। এরপর ঢাকার মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ ছিদ্দিকের আদালত এজাহারটি গ্রহণ করেন। তিনি কোতোয়ালি থানার এসআই কিরণ মিয়াকে মামলাটি তদন্ত করে আগামী ৯ মে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। গত রাতে কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিএমএম আদালতের হাজতখানা থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামি সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি দ্রুত তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
মাদক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কদমতলী থানার এসআই এস এম জহিরুল আলম জানান, সাইফুল ইসলামকে হেরোইনসহ আমরা গ্রেফতার করি। গত মঙ্গলবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়। তিনি আদালতের হাতজখানা থেকে পালিয়েছেন। পালাতক সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সাইফুল ইসলাম পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কদমতলী থানার এএসআই শেখ জাহিদুর রহমান বাদী হয়ে দণ্ডবিধির ২২৪ ধারায় কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় সাইফুলসহ থানার অন্যান্য আসামিদের হাতকড়া পরিয়ে সরকারি প্রিজন ভ্যানে করে দুপুর সোয়া ১টার দিকে সিএমএম কোর্টের হাজতখানায় আনা হয়। সেখানে কর্মরত পুলিশের সিআইডি ইউনিট আসামিদের হাতকড়া খুলে তাদের ফিঙ্গারপ্রিন্টসহ ছবি তোলে। এজাহারে আরও বলা হয়েছে, পরে আসামিদের বুঝিয়ে দেয়ার জন্য দ্বিতীয় তলার হাজতখানার সামনের করিডোরে রাখা হয়। সেখানে থাকা অন্য আসামিদের সঙ্গে সাইফুল মিশে যান। কদমতলী থানার আসামিদের জমা দেয়ার সময় সাইফুলকে না পেয়ে হাজতখানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা ও বাহিনী আসামিকে খুঁজেও তার কোনো সন্ধান পায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।