গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর মাদারটেক এলাকার বাসিন্দাদের সমস্যার কথা শুনলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। এ সময় তিনি বলেন, ডিএসসিসির একটি রাস্তা নষ্ট থাকবে, এটা আমি মেয়র হিসেবে দেখতে চাই না। এক ইঞ্চি রাস্তাও নষ্ট থাকতে দেবো না। রাস্তা কাঁচা থাকলে আমাকে বলবেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গতকাল বুধবার বিকেলে মাদারটেক হাজী আব্দুল আজীজ স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে জনতার মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি অনুষ্ঠানে স্থানীয়দের বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন এবং তা সমাধানে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন মেয়র।
অনুষ্ঠানে মেয়রকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আব্দুল আজীজ স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাকে স্বাগত জানিয়ে এলাকাবাসী সেøাগান দেন। ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে মেয়রকে বরণ করেন স্কুল কমিটি ও অনুষ্ঠানের আয়োজকরা।
মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, আমি আমার দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করছি। আজ আপনার মেয়র আপনার সামনে হাজির, আপনারা নির্দেশ দেবেন, আমি মেয়র তা পালন করবো।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন, আজ থেকে এক বছর সাত মাস পূর্বে আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়েই ডিএসসিসির দায়িত্বভার নিয়েছি। এই এলাকার বিভিন্ন বাসায় গিয়ে আমি ভোট প্রার্থনা করেছিলাম। এলাকার সাধারণ জনগণ আমাদের সমর্থন করেছেন। আমি আমার দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করছি। অনেকগুলো সমস্যা আমি তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করেছি। আমার চেষ্টার বিন্দুমাত্র ঘাটতি থাকে না।
তিনি বলেন, আমরা এসেছি আপনাদের মনের কথা শুনতে। আপনাদের সমস্যা সমাধান করতে। যেসব সমস্যা আজই এই সভা থেকে সমাধান করা যায় সেগুলো এখন থেকেই করবো। আর যেগুলো সময়ের প্রয়োজন সেগুলো সময় নিয়েই করবো। কোনো সমস্যা থাকবে না। সমাধান করবোই ইনশাআল্লাহ।
মেয়র বলেন, নির্বাচনের আগে বলেছিলাম, আমি যুবক, আমি কর্মঠ। কাজ করার নিয়ত আমার রয়েছে। আমাকে ভোট দিন। আপনারা দিয়েছেন। এখন আপনাদের দেয়ার পালা। মাত্র ৪২ স্কয়ার কিলোমিটারের শহরে দেড় কোটি মানুষের বসবাস। এই ঘনবসতিপূর্ণ স্থানের মানুষকে সেবা দিতে হয় আমাকে। আপনারা সবাই এক একজন মেয়রের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করুন।
আমি দায়িত্বভার নেয়ার পর অনেক অর্থের অভাব ছিল। অর্থের অভাবে বিদ্যুতের লাইন ডিসকানেক্ট করতে গিয়েছিল বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা। সাড়ে তিনশ’ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে নগর ভবনে এসেছি। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। তিনি আমাকে খুকু বলে ডাকেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেন, তুমি প্রকল্প দাও, আমি অর্থের জোগান দেব। ডিএসসিসির একটি রাস্তা নষ্ট থাকবে, এটা আমি মেয়র হিসেবে দেখতে চাই না। এক ইঞ্চি রাস্তা নষ্ট থাকতে দেবো না। রাস্তা কাঁচা থাকলে আমাকে বলবেন।
মেয়র বলেন, রাস্তার স্ট্রিট লাইট নষ্ট থাকতে দেবো না। প্রতিটি রাস্তায় এলইডি লাইট দেব। আমি লাইটের ব্যবস্থা করেছি। এরই মধ্যে বেশ কিছু স্থানে লেগে গেছে। আগামী জানুয়ারির মধ্যে প্রত্যেকের ঘরের সামনে এলইডি লাইট জ্বলবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী মোহাম্মদ গোলাম হোসেন দাবি রেখে বলেন, অনেক সরকার আসে, আবার সরকার যায়। কিন্তু আমাদের এলাকার উন্নয়ন হয় না। আমি বাসাবোর বৌদ্ধমন্দির থেকে শুরু করে বেগুনবাড়ি ফ্লাইওভার পর্যন্ত সড়কটির ৬০ ফুট করার জন্য দাবি জানাচ্ছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিল্লাল, ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ গোলাম হোসেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিসুর রহমান, গোলাম আশরাফ তালুকদার, ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন, অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ, মাকসুদ হোসেন মিল্টন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।