মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাজ্য আয়োজিত কপ২৬ জলবায়ু সম্মেলনে বৈশ্বিক নির্গমন হ্রাসে ‘প্রত্যয় এবং সাহস’ দেখানোর জন্য বিশ্বের নেতাদের আহ্বান জানানোর কয়েক সপ্তাহ পরে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে দেখা গেল সউদী আরবে যেয়ে সহায়তা চাইতে।
তিনি সউদী ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এবং আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদের কাছ থেকে রাশিয়ার তেল থেকে পশ্চিমাদের মুক্ত করতে সাহায্য করার জন্য রফতানি বাড়াতে একটি চুক্তির আশা করেছিলেন। ব্রিটিশ মন্ত্রীরা বারবার যুক্তি দিয়েছেন যে, ইউক্রেনের যুদ্ধ মানে ব্রিটেনকে অবশ্যই রাশিয়ান জ্বালানির উপর থেকে তার ‘নির্ভরতা’ থেকে ‘স্বাধীনতা’ সুরক্ষিত করতে হবে।
চলতি বছরের শেষ দিক থেকে রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাস আমদানি নিষিদ্ধ করেছে তারা। ফলে চুক্তির উদ্দেশ্য নিয়ে গেরেও মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে সাক্ষাতের পর রিয়াদে বক্তৃতা করে, জনসন কেবলমাত্র রিপোর্ট করতে পারেন যে, মুদ্রাস্ফীতি দ্বারা সৃষ্ট পশ্চিমের অর্থনৈতিক ক্ষতি এড়াতে উপসাগরীয় দেশগুলোতে উৎপাদন বাড়বে বলে তিনি আশাবাদী।
জনসন সউদী ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে ‘ব্যক্তিগতভাবে’ জানেন বলে জানা গেছে, তার অফিসের কর্মকর্তারা এই সপ্তাহে অস্বীকার করতে ব্যর্থ হয়েছেন যে প্রধানমন্ত্রী যুবরাজকে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পাঠান। তবে জনসনের সফরের পরে যে কোনও তেল চুক্তি এখনও অনেক দূরের বিষয় হিসাবে রয়ে গেছে।
২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলে সউদী কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার ঘটনায় ক্রাউন প্রিন্সকে মূলত পশ্চিমারা এড়িয়ে গেছেন। এদিকে, একটি নতুন পারমাণবিক চুক্তি পুনর্নির্মাণের বিষয়ে ইরানের সাথে মার্কিন লেনদেনের বিষয়ে সউদী উদ্বেগও পশ্চিমা স্বার্থের উপর ছায়া ফেলেছে, বিশেষ করে ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের সউদী-সমর্থিত সরকারের সাথে যুদ্ধ করছে।
ক্রাউন প্রিন্স বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকট সম্পর্কে জো বাইডেনের সাথে ফোন কলে কথা বলতে অস্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে। যেটিকে আরও একটি চিহ্ন হিসাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে, সউদী আরব আলোচনার কোন মুডে নেই। মাত্র গত সপ্তাহে দেশটি ৮১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে - বেশিরভাগই সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে – যা ছিল দেশটির আধুনিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গণ মৃত্যুদণ্ড।
ফলে সেখানে জনসনের ট্রিপ ঘরে-বাইরে সমালোচিত হয়েছে। লেবার নেতা স্যার কিয়ার স্টারমার বলেছেন, জনসন যেভাবে ‘মাথা নত করে স্বৈরশাসকদের কাছে যাচ্ছেন, তা কোন জ্বালানি কৌশল হতে পারে না’। এবং বুধবার হাউস অফ কমন্সে, ডেপুটি লেবার নেতা অ্যাঞ্জেলা রেনার বলেছেন যে, পুতিনের কাছ থেকে তেল কেনা বন্ধ করার জন্য জনসনের প্রচেষ্টার অর্থ হল প্রধানমন্ত্রী ‘ভিক্ষার মিশনে এক স্বৈরশাসক থেকে অন্য একনায়কের কাছে’ যাচ্ছেন। সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট, টেলিগ্রাফ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।